নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে ফেসবুকে অশ্লীলতা, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীর এফআইআর-এ ক্ষমা চাইল অভিযুক্তরা

নেতাজিকে নিয়ে একাধিক মিম শেয়ার করা হয়েছিল ফেসবুকে। যা স্বাধীনতা সংগ্রামীর আপমান বলে দাবি করে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী। তারপরই ডিলিট হয়ে সেই মিমগুলি।

Web Desk - ANB | Published : Dec 1, 2022 12:48 PM IST / Updated: Dec 02 2022, 09:40 AM IST

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্য। রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পেশায় আইনজীবী ও নাগেরবাজারের বাসিন্দা আত্রেয়ী হালদার। দিক কয়েক আগের ঘটনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেন নেতাজিকে নিয়ে বেশ কিছু কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছে। রাজদীপ বিশ্বাস রুদ্র ও পৃথ্বী বসু নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। আইনজীবী জানিয়েছেন নেতাজী আমাদের জাতীয় হিরো। দেশের স্বাধীনতার জন্য তাঁর অনেক অবদান। তারপরেও তাঁকে নিয়ে কী করে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়? প্রশ্ন তুলেই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

গত ২৪ নভেম্বর নেতাজির নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্যগুলি দেখেছিলেন। তারপরই তিনি দ্বারস্থ হয়েছিলেন থানায়। ১ ডিসেম্বর আত্রেয়ী হালদার এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি অভিযোগ জানানোর পরই পুলিশ পদক্ষেপ করেছে। তবে কী করেছে তাঁর জানা নেই। তিনি জানিয়েছেন, অভিযোগ দায়েরের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় থেকে পোস্টগুলি ডিলিট হতে শুরু করেছিল। এক নেটিজেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমাও চেয়েছেন। আইনজীবী জানিয়েছেন, পুলিশের উদ্যোগে তিনি খুশি হয়েছেন।

ঘটনার সূত্রপাত্র- নেতাজির কয়েকটি মিম শোয়ার করা হয়েছিল ফেসবুকে। যেখানে জাপান আর জার্মানির ম্যাচে নিয়ে কথা বলা হয়েছে। পৃথ্বী বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি ম্যাচের দিন একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। সেখানে নেতাজির ছবি বিকৃত করেছেন। লেখা ছিল 'নেতাজী বলছেন এবার কাকে সাপোর্ট করি?' পৃথ্বীশ বিশ্বাস লিখেছেন- সুভাষকে বোঝা বড় শক্ত। এই পোস্টটি অনেকেই শেয়ার করে আর নিজেদের মন্তব্য জানায়। আর সেই কারণে সেই সময় তোজো আর নেতাজীর সম্পর্ক নিয়ে অনেক কুৎসা হয়েছিল। যাইহোক- স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজিকে নিয়ে এজাতীয় মন্তব্য মেনে নিতে পারেননি। তাই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন আয়েত্রী হালদার। তাঁর অভিযোগের পরই নেটিজেনরা কিছুটা হলেও পিছু হটে। তেমনই এক নেটিজেন রাজদীপ বিশ্বাস একটি লম্বা-চওড়া লেখা লিখেছেন। তিনি দাবি করেছেন বেঁচে থাকলে নেতাজী জাপান আর জার্মানির ম্যাচ দেখতেন আর কোনও একটি দেশকে সমর্থন করতেন। তিনি আগে একটি কুকুরের ইমোজিও শেয়ার করেছিলেন। বলতে চেয়েছেন, নেতাজী দেশ স্বাধীনের জন্য জাপানের সাহায্য চেয়েছিলেন।

অন্যদিকে আত্রেয়ী হালদার এর আগেও তিনি নেতাজিকে নিয়ে একাধিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ছিলেন। পাঠ্যসূচিতে নেতাজীকে নিয়ে কম তথ্য রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। আয়েত্রী হালদারের দাবি নেতাজীকে আরও বেশি করে জানার আর পড়ার প্রয়োজন রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

Netaji death mystery: গুমনামি বাবাই কি আসলে নেতাজী? CFL ডিএনএ রিপোর্ট প্রকাশ না করায় উঠছে প্রশ্ন

Netaji Subhash Chandra Bose : সত্যিই কি বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল নেতাজির, আজও রয়েছে রহস্য

Netaji Statue-PM Modi: 'নেতাজি দেশভক্তির প্রতীক', ইন্ডিয়াগেটে মূর্তির উদ্ধোধন করলেন মোদী

 

 

Share this article
click me!