খারাপ খবর! বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে কলকাতা মেট্রোর এই টাইমের ট্রেন, মাথায় হাত যাত্রীদের
এতদিন পর্যন্ত দমদম এবং কবি সুভাষ থেকে শেষ মেট্রো ছাড়ত রাত ৯.৪০ মিনিটে। দক্ষিণেশ্বর থেকে এবং দক্ষিণেশ্বরের দিকে যাওয়ার জন্য শেষ মেট্রো ছাড়ত তার কিছুক্ষণ আগে। তবে নিয়ম পাল্টে ফেলা হয়। এবার সেই নিয়ম বদলে দেওয়া হল। বন্ধ হল এই সময়কার ট্রেন চলাচল।
সপ্তাহের প্রথম ছয়দিন সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় মেট্রো পরিষেবা। লক্ষ লক্ষ যাত্রী পরিবহণে নিরলস পরিষেবা দিয়ে চলেছে কলকাতা মেট্রো। আগে ছিল দমদম পর্যন্ত। এখন সেই মেট্রো চলে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত।
পুরনো রেক বদলে বহুদিন আগেই প্রত্যেকটি রেককে এসি করে দেওয়া হয়েছে। মাস খানেক আগে সময়সীমাতেও আনা হয় বদল। এতদিন পর্যন্ত দমদম এবং কবি সুভাষ থেকে দিনের শেষ মেট্রো ছাড়ত রাত ৯.৪০ মিনিটে। আর দক্ষিণেশ্বর থেকে এবং দক্ষিণেশ্বরের দিকে যাওয়ার জন্য শেষ মেট্রো ছাড়ত তার কিছুক্ষণ আগে।
কিন্তু মে মাসে বদলে যায় সেই নিয়ম। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বিশেষ পরিষেবা চালু করে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। তবে গোটা সপ্তাহের সবদিন নয়। সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত চালানো হত বিশেষ পরিষেবা।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়, দমদম এবং কবি সুভাষ থেকে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১১টায়। সব স্টেশনে দাঁড়াবে এই দুটি মেট্রো। কিন্তু এই মুহূর্তেই নোয়াপাড়া, বরাহনগর এবং দক্ষিণেশ্বরকে এই বিশেষ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে না। এই তিনটি স্টেশন থেকে আগের সময় অনুযায়ীই মেট্রো ছাড়বে।
কলকাতা মেট্রো সূত্রে জানা গেছে, ২৪ শে মে রাত ১১ টার মেট্রোয় ৬০০ জন যাত্রী হয়েছিল। সেদিন ভাড়া বাবদ মাত্র ৬ হাজার টাকা আয় হয়েছিল কর্তৃপক্ষের।
তবে ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায় একদিন রাত ১১ টায় মেট্রো চালাতে। যার জেরে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ছে কলকাতা মেট্রো। তাই আপাতত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাত ১১টার মেট্রো বন্ধ রাখার।
রাত ১১ টায় পরীক্ষামূলকভাবে একদিন চালানো হয়েছিল মেট্রো। যাত্রী চাহিদা বুঝে মেট্রো কর্তৃপক্ষ চেয়েছিল প্রতিদিন সেই পরিষেবা দিতে।
তবে পর্যাপ্ত যাত্রী না হওয়ায় বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে মেট্রো। কবি সুভাষ ও দমদম থেকে এতদিন রাত ৯:৪০ মিনিটে শেষ মেট্রো যেমন ছাড়ত, তেমনই চলবে আগামী দিনেও।