একাধিক কর্মসূচি নিয়ে কলকাতা সফরে এলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দিনভর নানা কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। শহরের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার কথা রয়েছে রাষ্ট্রপতির।
ঝটিকা সফরে কলকাতা এলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁকে স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি রাজভবনে পৌঁছে যান রাষ্ট্রপতি। সেখানে একটি মহিলা সংগঠনের অনুষ্ঠান রয়েছে। এরপর রাজভবনেই মধ্যাহ্নভোজ সারবেন রাষ্ট্রপতি। তারপর তিনি যাবেন গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সে। সেখানে নৌবাহিনীর নতুন জাহাজ 'বিন্ধ্যগিরি-র সূচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি। বৃহস্পতিবারই দিল্লি ফিরে যাবেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর সফর উপলক্ষে কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ই এম বাইপাসের একাংশে যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির যাতায়াতের সময় মা উড়ালপুল ও এজেসি বোস রোড ফ্লাইওভারেও যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি গার্ডেনরিচ যাওয়ার সময় খিদিরপুর রোড, রেড রোড, আর আর অ্যাভেনিউ, গার্ডেনরিচ রোডেও যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তিনি গার্ডেনরিচ থেকে বিমানবন্দরে ফেরার সময়ও একইভাবে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
রাজভবনে 'আমার বাংলা, নেশামুক্ত বাংলা' অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি। এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ছাড়াও যোগ দেন রাজ্যপাল ও পশ্চিমবঙ্গের শিশু ও মহিলা ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। এই অনুষ্ঠানে নেশামুক্ত দেশ ও সমাজ গড়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, নেশা যুবসমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক। কাউকে নেশা করতে দেখলে তাঁকে নেশামুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। নেশামুক্তির ক্ষেত্রে আধ্যাত্মিকতার গুরুত্বের কথাও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর মতে, নেশা অবশ্যই ছাড়া যায়। আজ থেকেই চেষ্টা শুরু করা উচিত। নিশ্চয়ই নেশা ছাড়া যাবে।
খেলা, সৃজনশীল কাজ, শিক্ষার মাধ্যমেও নেশা ছাড়ানো সম্ভব বলে মতপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর মতে, নেশা ছাড়ানোর ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বড় ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি যাঁরা নেশা করছেন তাঁদের পরিবার-পরিজন, বন্ধুদেরও ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, যাঁরা নেশা করছেন তাঁদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। তাঁরা যাতে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন সেই চেষ্টা করা উচিত সবারই।
রাজভবনে মধ্যাহ্নভোজ সারার পর রাষ্ট্রপতি যাবেন গার্ডেনরিচে। সেখানে নৌবাহিনীর 'প্রোজেক্ট ১৭ আলফা' ষষ্ঠ যুদ্ধজাহাজ 'বিন্ধ্যগিরি'-র সূচনা করবেন রাষ্ট্রপতি। এই প্রকল্পে কলকাতায় তৃতীয় ও শেষ যুদ্ধজাহাজ তৈরি হয়েছে। এই যুদ্ধজাহাজ তৈরি করতে যে যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, তার ৭৫ শতাংশই সরবরাহ করেছে দেশীয় সংস্থাগুলি। যুদ্ধজাহাজটি জলে নামার পর সেটি কেমন কাজ করছে দেখে নিয়ে নৌবাহিনীর হতে তুলে দেওয়া হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াবে এই যুদ্ধজাহাজটি।
আরও পড়ুন-
Weather Update: বৃহস্পতিবারও জেলায় জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, দেখে নিন কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া
'যাদবপুর নিয়ে রাজ্যপালের বৈঠক আইন বিরুদ্ধ ও অবৈধ' প্রতিক্রিয়া ওমপ্রকাশের