এসএসসি মামলায় আবারও কোনঠাসা রাজ্য প্রশাসন। এবার ২০১৭ সালে নেওয়া কর্মশিক্ষা পরীক্ষা নিয়ে অসন্তোষ। বৃহস্পতিবারের মধ্যে রিপোর্ট চাইলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
আবারও এসএসসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের তোপের মুখে রাজ্য প্রশাসন। আপাত উচ্চ প্রাথমিকে ৭৫০ শূন্যপদে নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি বৃহস্পতিবারের মধ্যে এসএসসি-র কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্টও তলব করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি জানতে চেয়েছেন, জাতিগত সংরক্ষণের তালিকায় দত্ত , ভৌমিক পদবী থাকা প্রার্থীদের কি করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এসএসসিতে দুর্নীতি হয়েছে - এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থী সোমা রায়। তাঁর আবেদ ছিল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বঞ্চিত করেছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ। ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন। পরে ২০১৭ সালের জুন মাসে শুধুমাত্র কর্মশিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। তার পার্সোনালিটি টেস্ট হয়েছিল ২০১৮ সালে। সেই ফলাফলের ভিত্তিতে চলতি বছর অক্টোবরে শরীর শিক্ষা ও কর্মশিক্ষা পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল এসএসসি। তারপরই সোমা রায় মামলা দায়ের করেন।গত ৩ নভেম্বর কর্মশিক্ষা বিষে যে ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে তঁর নাম নেই। তিনি তফসিলি জাতিভুক্ত। তারপরেও পরীক্ষা ও পার্সোনালিটি টেস্ট মিলিয়ে তিনি ৭২ নম্বর পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু অ্যাকাডেমিক স্কোরে ২২এর পরিবর্তে তাঁকে ১৮ নম্বর দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সেই মামলার শুনানি হয় মঙ্গলবার । মামলা চলাকারীন এসএসসির আইনজীবির দাবি, মামলাকারী সোমা রায়ের আগে যাদের নাম রয়েছে তাদের বিশেষ যোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু সেই সেই বিশে। যোগ্যতা তা জানতে চায় আদালত।
এই প্রশ্নের উত্তরে কমিশন যুক্তি দিয়েছিল যে সংশ্লিষ্ট তালিকায় অনেক প্যারা টিচার বা পার্শ্বশিক্ষকদের নাম রয়েছে। কিন্তু এসএসসি-র এই যুক্তি মানতে নারাজ কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তথ্য বলছে, তফসিলি জাতি বা উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত তালিকায় সধারণ প্রার্থীদের নাম রয়েছে। তাতেই আদালত প্রশ্ন করে, 'কী বিশষ যোগ্যতা রয়েছে চাকরি প্রার্থীদের? আপনিকে বলতে চান দত্ত ভৌমিক পদবিরাও তফসিলি জাতিভুক্ত? ' এখানেই থামেননি তিনি , বলেছেন, এসব করে এসএসসি কর্তৃপক্ষ চকরিপ্রার্থীদের শুধু শুধু হয়রান করছে। এদিন শুনার সময় আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজেও জানে তারা স্বচ্ছ নয়।
২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট নিয়ে যেমন দুর্নীতির মামলা রয়েছে তেমনই উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়েও বেশি কিছু মামলা রয়েছে। যার অধিকাংশই ব্যক্তিগত। যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে ওযোগ্যদের স্থান করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে রীতিমত কড়া কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুনঃ
ঝাড়গ্রাম সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, খোঁজখবর নিতে সরাসরি চলে গেলেন আদিবাসী পাড়ায়
সহবাসের সঙ্গীকে খুনের পরেও মাথা ঠান্ডা রেখেছিল প্রেমিক, পরিকল্পনা করেই লোপাট করেছিল প্রমাণ