সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে কর্মবিরতি নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা কী বললেন? যুক্তি সাজাচ্ছেন ইন্দিরা জয়সিংহ

সুপ্রিম কোর্টে শেষবারের মত আরজি কর মামলা উঠেছিল গত ৯ সেপ্টেম্বর । সেই সময় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছিল, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তাররা যদি কাজে না ফেরে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাজ্য সরকার নিলে তাদের কিছু করার থাকবে না।

কিন্তু তারপরেও ওঠেনি কর্মবিরতি। উল্টে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনের ঝাঁক আরও বাড়িয়ে স্বাস্থ্য ভবন সফাই অভিযান শুরু করেছিল। যা এখনও অব্যাহত।

তিন তিন রাজ্য সরকার ও জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু তিনবারই ভেস্তে যায়। রাজ্য সরকার ভিডিওগ্রিফি বা লাইভস্ট্রিমিং নিয়ে একমত হতে পারেনি।

মঙ্গলে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগের দিনই কালীঘাটে বৈঠকে গেছে জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানেই অনেকেই জট কাটতে পারে বলে আশা করছেন।

জুনিয়র ডাক্তাররা সুপ্রিম কোর্টে শুনানির ২৪ ঘণ্টা আগে তাদের কর্মবিরতি না তোলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যুক্তি সাজাতেও পরিকল্পনা করছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ মনে করছেন কর্মবিরতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারে তারা।

জুনিয়র ডাক্তাররা এবার তাদের পক্ষে সওয়াল করার জন্য দাঁড় করাচ্ছে নতুন আইনজীবীকে। ইন্দিরা জয়সিংহ। আগে তাদের আইনজীবী ছিল গীতা লুথরা।

জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের কর্মবিরতি থেকে শুরু করে নির্যাতিতার বিচার- সবকিছুর জন্যই ইন্দিরা জয়সিংহের ওপরই ভরসা রাখছেন।

জুনিয়র ডাক্তার বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল রাজ্য সরকার নিরাপত্তা দেখুন। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা আগামিকাল কোর্টে তুলে ধরতে চাইছেন রাজ্যের হাসপাতালগুনির বেহাল নিরাপত্তার কথা।

জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছে হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলি প্রয়োজনে পেশ করা হতে পারে সুপ্রিম কোর্টে।

এক জুনিয়র ডাক্তারের কথায় তাঁরা পাঁচ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে গিয়েছল। কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ে সদ্যো টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কাজ শুরু হয়নি। বাকি দাবিগুলি নিয়ে একপাও এগোয়নি সরকার। সেই কথাও তুলে ধরা হবে।