যাদবপুর লোকসভা আসন থেকে, সিপিআই (এম) সৃজন ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করেছে, তৃণমূলের প্রার্থী এখানে সায়নি ঘোষ, অন্যদিকে, বিজেপি ডাঃ অনির্বাণ গাঙ্গুলিকে প্রার্থী করেছে এবং এসইউসিআই কল্পনা দত্তকে প্রার্থী করেছে। এবারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে ত্রিমুখী।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যের নজরে রয়েছে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র। এই আসনে এবার খুব শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই আসনে এবার ফের প্রার্থী বদল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৪ সালে এখান থেকে জিতেছিলেন সুগত বসু। এরপরে ২০১৯ সালে, দল প্রার্থী পরিবর্তন করে এবং এখান থেকে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে টিকিট দেয় এবং তিনি প্রায় তিন লাখ ভোটে জয়ী হয়ে সংসদে পৌঁছেন। কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক পরিণতি সুবিধার হয়নি। এলাকায় না থাকার অভিযোগ ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকায় শেষ পর্যন্ত দল মিমির টিকিট বাতিল করে।
এবার ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে
যাদবপুর লোকসভা আসন থেকে, সিপিআই (এম) সৃজন ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করেছে, তৃণমূলের প্রার্থী এখানে সায়নি ঘোষ, অন্যদিকে, বিজেপি ডাঃ অনির্বাণ গাঙ্গুলিকে প্রার্থী করেছে এবং এসইউসিআই কল্পনা দত্তকে প্রার্থী করেছে। এবারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে ত্রিমুখী। গতবার বিজেপি দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল এই আসনে এবং এবার পদ্ম ফোটাতে সবরকমভাবে চেষ্টা করছে বিজেপি। অন্যদিকে, বামেদের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত ছিল যাদবপুর কেন্দ্র। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই তা তৃণমূলের দখলে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের প্রচারে নেমে সেই শক্ত ঘাঁটি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়ে দল। আর ঘাঁটি ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার রাজনীতি যাদবপুর থেকে অনেক বড় রাজনৈতিক মুখ পেয়েছে এবং এর ঐতিহাসিক গুরুত্বের একটি সংসদীয় কেন্দ্র।
এখান থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু
যাদবপুর লোকসভা আসনটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৪ সালে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখান থেকে সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো লোকসভায় পৌঁছেছিলেন। বাংলার রাজনীতিতে এই জয়ের মধ্য দিয়ে দিদি তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের আভাস দেখিয়েছিলেন। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং ইন্দ্রজিৎ গুপ্তের মতো শক্তিশালী নেতারা এই লোকসভা আসন থেকে সাংসদ হয়েছেন। এই জায়গাটি বাংলায় বাম সমর্থিত ছাত্র আন্দোলনের জন্যও বিখ্যাত।
আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।