৬০ বছরে প্রথমবার এত ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়! অগাস্ট মাসে চলবে তাণ্ডব! রাজ্য জুড়ে কবে থেকে শুরু প্রবল ঝড়বৃষ্টি?
বুধ ও বৃহস্পতিবার কিছুটা হলেও যেন শুকনো ছিল আবহাওয়া। তবে সে সুখ বেশিদিন কপালে নেই। আবারও নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। সঙ্গে দোসর নাকি ঘূর্ণিঝড়! কী হতে চলেছে, জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট।
বঙ্গোপসাগরে নতুন নিম্নচাপের জন্ম হল আবার। তবে এই নিম্নচাপে বাংলায় ভারী দুর্যোগের আশঙ্কা নেই বলেই ইঙ্গিত হাওয়া অফিসের।
নিম্নচাপে অতি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশায়। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি অবধি হতে পারে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, ৪-৫ দিনে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বাংলায়। খুব বেশি হলে, কিছু জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।
তবে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। গুজরাত লাগোয়া আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা অনেক কম। গুজরাত উপকূল থেকে দূরে সরবে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়।
গত সপ্তাহে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। আজ কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া।
তবে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি নিয়ে উদ্বেগ না থাকলেও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছেই। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরে বৃষ্টি হতে পারে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরের এই জেলাগুলিতে।
শুক্রবার গুজরাট উপকূলে উত্তর আরব সাগরে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের। তবে ঝড়টির ভারতীয় উপকূলকে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা কম।
ভারতের মৌসম ভবন জানিয়েছে, সৌরাষ্ট্র-কচ্ছের ওপর সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি শুক্রবারের মধ্যে উত্তর আরব সাগরে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা।
বৃহস্পতিবার আইএমডি জানিয়েছিল, গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম দিকে সরে গেছে এবং ভূজের প্রায় ৬০কিলোমিটার উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে, নালিয়া থেকে ৮০কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং পাকিস্তানের করাচি থেকে ২৭০কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
জানা গিয়েছে, ১৯৬৪ সালের পর আগস্টে আরব সাগরে সৃষ্টি হওয়া এটি দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর এটির নাম হবে আসান। নামকরণ করেছে পাকিস্তান।
তবে মৌসম ভবন সূত্রে খবর, জুন-সেপ্টেম্বর মৌসমে গঠিত নিম্নচাপগুলি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় না।
বৃহস্পতিবার সকালে জারি করা আবহাওয়ার আপডেটে মৌসম ভবন জানিয়েছে, 'গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সরে যেতে পারে। উত্তর-পূর্ব আরব সাগরে, কচ্ছ এবং সংলগ্ন সৌরাষ্ট্র ও পাকিস্তান উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।
শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে দুদিনের মধ্যে ভারতীয় উপকূল থেকে উত্তর-পূর্ব আরব সাগরের ওপর দিয়ে পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে'।
আইএমডির তথ্য অনুযায়ী, আরব সাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপেরতীব্রতা ১৯৬১, ১৯৬৪ এবং ২০২২সালে রেকর্ড করা হয়েছিল। কিন্তু এগুলোর কোনোটিই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়নি। ফলে, গত ৬০ বছরে প্রথম আগস্ট মাসে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আরব সাগরে।