কোথায় উধাও হয়ে গেল স্বস্তির কালবৈশাখী? কেন এই বছর দেখা নেই কোনও ঝড়ের, জানুন চমকে দেওয়ার মত কারণ

কালবৈশাখী স্বস্তি নামিয়ে আনে বিস্তীর্ণ এলাকায়। চলতি বছর তাপমাত্রার পারদ যেখানে অধিকাংশ জেলায় ৪২ থেকে ৪৬° পর্যন্ত চলতে দেখা যাচ্ছে সেই জায়গায় একটিও কালবৈশাখীর দেখা না মেলা চিন্তার

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী তিন দিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে। অর্থাৎ গরম আরও বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিনের বাকি সময় এবং পরের সপ্তাহের বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আপাতত কোথাও বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। কিন্তু কেন!

দক্ষিণবঙ্গে এমনিতেই চৈত্র, বৈশাখ মাস থেকেই চরম গরম শুরু হয়। আর সেই চরম গরম থেকে মাঝে মাঝেই স্বস্তি দিতে ধেয়ে আসে কালবৈশাখী। ক্ষণিকের জন্য হলেও কালবৈশাখী স্বস্তি নামিয়ে আনে বিস্তীর্ণ এলাকায়। চলতি বছর তাপমাত্রার পারদ যেখানে অধিকাংশ জেলায় ৪২ থেকে ৪৬° পর্যন্ত চলতে দেখা যাচ্ছে সেই জায়গায় একটিও কালবৈশাখীর দেখা না মেলা চরম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Latest Videos

কালবৈশাখী ঝড় সাধারণত চৈত্র, বৈশাখ মাসেই দেখা যায়। বইয়ের পাতাতেও কালবৈশাখী ঝড়ের সময় সেই চৈত্র, বৈশাখ থাকলেও এবার কিন্তু তা মিলল না। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে মাত্র একদিন কালবৈশাখীর দেখা মিলেছে তাও আবার মাত্র কয়েকটি জায়গায়। কিন্তু প্রশ্ন হল কেন এইভাবে উধাও হয়ে গেল কালবৈশাখী?

আবহাবিদদের থেকে জানা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহেই ধীরে ধীরে দক্ষিণবঙ্গের পরিমণ্ডলে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বাড়বে। আর জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পেতে আগামী সপ্তাহের রবিবার অর্থাৎ ৫ মে থেকে দিনের বেলায় দক্ষিণবঙ্গে মেঘের সঞ্চার হবে এবং তাপমাত্রার পারদ কিছুটা হলেও নিম্নমুখী থাকবে। তবে মেঘের সঞ্চার হলেও বৃষ্টি কতটা হবে তার কোন গ্যারান্টি দিচ্ছে না হাওয়া অফিস। আর ওই সময়েই দেখা মিলতে পারে কালবৈশাখীর।

আগামী সপ্তাহের ৫ থেকে ৭ মে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও স্বস্তি ফিরে যাবে তাও নয়। তবে তাপমাত্রার পারদ যেখানে অনেকটাই বেড়েছিল সেই জায়গায় তা নেমে ৪০ ডিগ্রির নিচে থাকবে আশা করা হচ্ছে। পরিমণ্ডলে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৭০ থেকে ৮০% এর কাছাকাছি গেলে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে দক্ষিণবঙ্গে এখন যে অবস্থা তাতে আগামী সপ্তাহ ছাড়া কোন রকম স্বস্তি মিলবে না বলেই আশা করা হচ্ছে। আবার আর চৈত্র, বৈশাখ মাসেও কালবৈশাখীর দেখা না পাওয়ার পিছনে গাছের অভাব, জলাশয়ের অভাব বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মূলত কালবৈশাখী ঝড়ের জন্য যে সকল অনুকূল পরিবেশের দরকার তার মধ্যে রয়েছে জলীয়বাষ্প। এই বছর এত দাবদাহের মধ্যেও কালবৈশাখীর দেখা না পাওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো জলীয়বাষ্পের অভাব। দক্ষিণবঙ্গ সহ ঝাড়খন্ড, পাশাপাশি সমগ্র মালভূমি অঞ্চলে এখন জলীয়বাষ্পের পরিমাণ মাত্র ২০ থেকে ৪০ শতাংশের কম। যতক্ষণ না জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ততক্ষণ কালবৈশাখীর দেখা পাওয়া একপ্রকার অসম্ভব।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!

Latest Videos

‘তৃণমূল কেমিক্যাল দিয়ে আমায় মারার প্ল্যান করছে’ তৃণমূলের চক্রান্ত ফাঁস করলেন অর্জুন সিং! দেখুন
ফের ইডির ভয়াল থাবা! মধ্যমগ্রাম কাঁপলো ইডির দুঃসাহসিক অভিযানে, দেখুন | North 24 Parganas | ED Raid
TMC-কে ভোট দিলেই মিলছে ঠোঙা ভর্তি মুড়ি ও চানাচুর! শোরগোল মেদিনীপুরে | Midnapore | WB By election
Live: সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য ও শিশির বাজোরিয়া, কী বলছেন, দেখুন সরাসরি
Live: সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য, কী বললেন তিনি, দেখুন সরাসরি