উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বেশ কিছু নিয়মের বদল এনেছে। সংসদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রতি সেমিস্টারেই থাকছে পাস-ফেল। আগের সিদ্ধান্ত বদলে সংসদ জানিয়েছে পাস করলেই তবে যাওয়া যাবে পরবর্তী সেমিস্টারে।
জাতীয় শিক্ষানীতির ভিত্তিতে রাজ্য শিক্ষানীতির সুপারিশে এরাজ্যেই প্রথম লাগু হতে চলেছে নতুন পদ্ধতি। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, চলতি বছরের নভেম্বর এবং ২০২৫ সালের মার্চ মাসে হবে একাদশ শ্রেণির ২টি সেমিস্টার। ২০২৫ সালের নভেম্বরে দ্বাদশ শ্রেণির প্রথম সেমিস্টার এবং ২৬-এর মার্চে দ্বাদশের দ্বিতীয় সেমিস্টার নিয়ে হবে উচ্চমাধ্যমিক। অর্থাৎ হিসেব বলছে সেমিস্টার ভিত্তিক উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম ব্যাচ পরীক্ষায় বসবে ২০২৬ সালে।
তবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বেশ কিছু নিয়মের বদল এনেছে। সংসদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রতি সেমিস্টারেই থাকছে পাস-ফেল। আগের সিদ্ধান্ত বদলে সংসদ জানিয়েছে পাস করলেই তবে যাওয়া যাবে পরবর্তী সেমিস্টারে।
এর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, ৩০ শতাংশ নম্বর পেলেই পড়ুয়াকে উত্তীর্ণ বলে ধরা হবে। একটি সেমিস্টারে কম নম্বর পেলেও বসা যাবে দ্বিতীয় সেমিস্টারে। ২টি সেমিস্টারে প্রাপ্ত নম্বর মিলিয়ে হিসেব করা হবে পাস নম্বর। গুণগত মানের কথা মাথায় রেখে এবার এই সিদ্ধান্ত বদলের কথা ভাবছে সংসদ। জানানো হয়েছে সেমিস্টারের স্বার্থে বদলে যাচ্ছে সিলেবাস। ১১ বছর পর উচ্চমাধ্যমিকের ৪৯টি বিষয়ের সিলেবাসের পরিবর্তন হল। কোনও কোনও বিষয়ে ৯০ শতাংশ বদলে গিয়েছে সিলেবাস। মূলত, কলা বিভাগে সিলেবাস বদল হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সিলেবাস শেষবার পরিবর্তন করা হয়েছিল ২০১২-১৩ সালে। এই দশ বছরের মধ্যে সর্বভারতীয় স্তরের পড়াশোনার ধরনে একাধিক পরিবর্তন এসেছে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে বদল করা হচ্ছে রাজ্যের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে অর্থা একাদশ ও দ্বাদশ ক্লাসে ৬০টি বিষয় পড়ানো হয়। এর মধ্যে ১৩টি ভোকেশনাল বিষয়। তবে উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যক্রম পরিবর্তন হলেও ভোকেশনাল বিষয়ে কোনও পরিবর্তন করা হচ্ছে না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।