লকডাউন নিয়ে কি ক্ষোভ বাড়ছে আমজনতার? বীরভূমের নলহাটিতে একদল পরিয়াযী শ্রমিকদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। কিন্তু এভাবে আর কতদিন থাকবেন! বাড়ির যেতে না পেরে প্রশাসনের দেওয়া খাবার প্রত্যাখান করলেন শ্রমিকরা। বাইরে থেকে খাবার কিনে খাচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: লকডাউনে মানবিক প্রশাসন, বহিরাগত শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করলেন বিডিওকারও বাড়ি মালদহে, তো কেউ আবার মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। সপ্তাহ দুয়েক আগে লকডাউনের মাঝেই বাড়ি ফিরছিলেন ৫৫ জন শ্রমিক। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বীরভূমের নলহাটি থানার নাকপুর চেকপোষ্টের কাছে শ্রমিকদের আটকান খোদ রামপুরহাটের মহকুমাশাসক সৌম্যজিৎ বড়ুয়া। তাঁদের রাখা হয় স্থানীয় লোহাপুর নিচু বাজার এলাকায়, জেলা পরিষদের অফিস ঘরে। মালদহের বাসিন্দা আতিকুর রহমান বলেন, '১৬ দিন ধরে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে শিবিরে রয়েছি। আজ বাসে চেপে যাওয়ার পর আমাদের ফিরিয়ে আনা হল। প্রতিবাদে আমার সরকারি খাবার প্রত্যাখান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দু'দিন ধরে নিজেরাই খাবার কিনে খাচ্ছি।' বাসে তুলেও কেন শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনা হল? নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের বিডিও হুমায়ুন চৌধুরী জানিয়েছেন, 'নতুন করে লকডাউনের সময়সীমা ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এখন সরকারি নির্দেশ ছাড়া কাউকে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় পাঠানো যাবে না। শ্রমিকদের অপেক্ষা করার ও সরকারি খাবার অনুরোধ করা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: লকডাউনে মানবিক উদ্যোগ, আসানসোলে রান্না করা খাবার পাচ্ছেন শ্রমিকরাআরও পড়ুন: আর অপেক্ষা নয়, বিহার থেকে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছেন নদিয়ার ফেরিওয়ালারাউল্লেখ্য, লকডাউনের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন পরিয়ায়ী শ্রমিকরাই। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে, এমনকী ভিনাজ্যে আটকে পড়েছেন অনেকেই। হাওড়ার বাগনানে ৩০ জন পরিয়াযী শ্রমিকদের ব্যবস্থা করেছেন বিডিও। বর্ধমান-সহ অন্য জেলাতেও শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।