আক্রান্ত অধ্যাপককে মুখ্যমন্ত্রীর ফোন, গ্রেফতার দুই টিএমসিপি সদস্য

  • কোন্নগর হীরালাল পাল কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যের নিগৃহীত বাংলার অধ্যাপক
  • তাঁকে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়
  • নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান
  • গ্রেফতার ঘটনায় জড়িত দুই টিএমসিপি সদস্য

 

amartya lahiri | Published : Jul 25, 2019 8:49 AM IST / Updated: Jul 25 2019, 02:20 PM IST

কোন্নগর হীরালাল পাল কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যের হাতে আক্রান্ত বাংলার অধ্য়াপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রকী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাঁকে ফোনে নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। গ্রেফতার করা হল ঘটনায় জড়িত থাকা দুই টিএমসিপি সদস্যকেও। তাতে কিছুটা হলেও নিরাপদ বোধ করছেন ওই অধ্য়াপক।

বুধবার কলেজে অশান্তি সামলাতে গিয়ে টিএমসিপি সদস্যদের হাতে কিল, ঘুষি, গলাধাক্কা খেতে হয়েছিল স্নাতকোত্তর বিভাগের দায়িত্বে থাকা বাংলার অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। একজন অধ্য়াপককে ছাত্রের হাতে নিগৃহীত হতে দেখার লজ্জাজনক এই ছবিকে ধিক্কার জানিয়েছে সারা রাজ্য।

প্রাথমিকভাবে টিএমসিপির তরফে এই ঘটনার দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলেও, পরে সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়, আক্রমণকারীদের তারা চেনে না, তবে তাদের জিএস ওই অধ্যাপককে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু শাক দিয়ে মাছ কোনদিন ঢাকা যায় না, এই ক্ষেত্রেও যায়নি।

বুধবারই আক্রান্ত অধ্যাপক উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার সকালে, সন্দীপ পাল ও বিজয় সরকার নামে দুই টিএমসিপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপরই আক্রান্ত অধ্যাপককে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

জানা গিয়েছে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে তিনি বলেছেন এই ধরণের ঘটনা তিনি বরদাস্ত করবেন না। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্য়েই সেই কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে মমতা বলেছেন কোনওরকম অসুবিধা হলেই তাঁকে ফোন করতে।

মুখ্য়মন্ত্রীর নির্দেশে এদিন হীরালাল পাল কলেজে উপস্থিত হন স্থানীয় বিধায়ক প্রবীর ঘোষালও। আক্রান্ত অধ্যাপক ও কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে তিনি দলের তরফ থেকে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস ও বিধায়কের আগমনে আক্রান্ত অধ্যাপক এখন অনেকটাই আশ্বস্ত।

তবে, কলেজের একটি ঘটনায় কেন রাজ্যের প্রশাসিক প্রধানকে নাক গলাতে হবে, কেন তিনি নির্দেশ না দিলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে না, সর্বোপরি একজন ছাত্র এক অধ্যাপকের গায়ে হাত তোলার স্পর্ধা কীভাবে পাচ্ছে এই প্রশ্নগুলি কিন্তু ধামাচাপা দেওয়া যাচ্ছে না। বুধবার নিগ্রহের পর সুব্রতবাবু অভিযোগ করেছিলেন ঘটনাটি বিক্ষিপ্ত নয়, রাজ্যের সব কলেজেই এক ছবি। সেই সঙ্গে প্রশ্ন করেছিলেন একদল বলছে জয় শ্রীরাম না বললে পেটাবে। আরেক দল বলছে জয় মমতা না বললে পেটাবে। যারা এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের বাইরে তাদের কী হবে?

 

Share this article
click me!