লাগাতার দাম বাড়ছে পেট্রোল ও ডিজেলের। বাড়ছে রান্না গ্যাসের দামও। জ্বালানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসেরও। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর অবস্থা নাজেহাল। করোনার পরিস্থিতির মধ্যে এভাবে জিনিসের দাম বাড়তে থাকায় সমস্যা পড়েছেন অনেকেই। তাই এবার সবার কথা চিন্তা করেই পেট্রল-ডিজেলের কর ছাড় ও সেস কমানোর আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তথ্য তুলে ধরে চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, মে মাসে ৮ বার ও জুন মাসে ৬ বার পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে। আর গত এক সপ্তাহে ৪ বার দাম বেড়েছে। গত ৬ বছরে পেট্রোপণ্যের উপর লাগামছাড়া সেসের জেরে দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের। পেট্রোপণ্যের দামবৃদ্ধি মানুষের সহ্যক্ষমতা ছাড়িয়েছে। সেই সেস কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করেছেন মমতা।
পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও আকাশ ছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। সেই কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। লেখেন, পেট্রোপণ্যের বর্ধিত মূল্যের জেরেই মে মাসে দেশের হোলসাম প্রাইস ইনডেক্স ১২.৯৪ শতাংশ ছুঁয়েছে। কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ৬.৩ শতাংশ। ২০২০ সালের মে মাসের তুলনায় ভোজ্য তেলের মূল্য ৩০.৮ শতাংশ, ডিমের দাম ১৫.২ শতাংশ, ফলের দাম ১২ শতাংশ বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রীর দাম বেড়েছে ৮.৪৪ শতাংশ। আর সেই কারণে পেট্রোপণ্যের উপর কর কমানো এবং সেস মকুবের দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ছাড়লেন কংগ্রেসের 'হাত', তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রণব পুত্র অভিজিৎ
এছাড়া ২০১৪-১৫ সালে পেট্রোপণ্যের দাম থেকে কেন্দ্র যে ট্যাক্স আদায় করত তা গত ছ'বছরে সেন্ট্রাল এক্সাইজ বাড়িয়ে কেন্দ্রের আয় ৩৭০ শতাংশ বেড়েছে। এভাবে গত ছ'বছরে তেলের থেকে কেন্দ্র কত হাজার কোটি টাকা আয় করেছে সেই তথ্যও চিঠিতে তুলে ধরেছেন মমতা।
এদিকে পেট্রোপণ্যের লাগাতার দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিল তৃণমূল। ১০ ও ১১ জুলাই রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে প্রতিবাদ ধরনার আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।