NEET Exam: অভাবকে সঙ্গে নিয়ে বড় হওয়া, নিট পরীক্ষায় সফলদের বাড়ি গিয়ে সংবর্ধনা বিধায়কের

অভাব লেগেই ছিল সংসারে। ছেলেবেলা থেকেই অভাব-অনটনকে সঙ্গী করে বেড়ে উঠেছে ইফতিকার আলি, বাসিরুদ্দিন সরকার, উমার সানি, সাফিক আহমেদ, নুর আফরোজের মতো পড়ুয়ারা। 

Asianet News Bangla | Published : Nov 25, 2021 3:32 PM IST / Updated: Nov 25 2021, 09:38 PM IST

কোনও মঞ্চ বেঁধে বা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নয় বরং বাড়ি বাড়ি উপস্থিত হয়ে নিট পরীক্ষায় (NEET Exam) সফল হওয়া গ্রামের মেধাবী পড়ুয়াদের (Student) সংবর্ধিত করেন লালগোলার বিধায়ক মহম্মদ আলি (Muhammad Ali)। সবাইকে মিষ্টি (Sweet) মুখ করান। সেই সঙ্গে পড়ুয়াদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনেন। সেই মতো পড়ুয়াদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক। এভাবে বিধায়ককে (MLA) কাছে পেয়ে খুশি পড়ুয়ারা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা (Family Member)। 

এ প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, "সীমান্তের লালগোলার বেশ কয়েক জন ছেলে মেয়ে এবার নিট পরীক্ষায় খুব ভালো ফল (Result) করেছে। এই সাফল্য আগামী দিনে এলাকার মানব সম্পদের উন্নয়ন ঘটাবে এবং নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে। ফলে এই সব ছেলে মেয়ের পড়াশোনা যাতে কোনও ভাবেই ব্যাহত না হয় সেদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের নজর রাখতে হবে।" আইড়মারী বাতাপাড়ার বাসিন্দা জেসমিনের বাবা পেশায় গ্যারেজ মিস্ত্রি, নদাইপুরের বাসিন্দা সাহিন শেখের মা সামান্য আশাকর্মী, মানিকচকের তুষার আলির বাবা জন মজুর, রামচন্দ্রপুরের সাফিদা খাতুনের বাবা খেতমজুর। এই রকমই ১০টি পরিবারের পড়ুয়াা এবার নিট পরীক্ষায় সফল হয়ে লালগোলা বিধানসভা এলাকার মুখ উজ্জ্বল করেছে। 

আরও পড়ুন- ক্লাসে অনুপস্থিত বহু পড়ুয়া, লকডাউনে স্কুলছুটদের ফেরাতে উদ্যোগ শিক্ষকদের

অভাব লেগেই ছিল সংসারে। ছেলেবেলা থেকেই অভাব-অনটনকে সঙ্গী করে বেড়ে উঠেছে ইফতিকার আলি, বাসিরুদ্দিন সরকার, উমার সানি, সাফিক আহমেদ, নুর আফরোজের মতো পড়ুয়ারা। কিন্তু, ছোট থেকেই তাদের মনে জোর আর অদম্য ইচ্ছে শক্তি। এই দুইয়ের উপর ভর করেই দিন বদলের স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিল তারা। আর তাই তাদের সফলতা এনে দিয়েছে। এখন দুই চোখে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন বুনছে তারা। আর পরিবারে অভাবের জেরে সেই স্বপ্ন যাতে মাঝ পথে নষ্ট না হয়ে যায় তার জন্যই বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই সব পড়ুয়াকে সংবর্ধনা দিলেন তণমূল বিধায়ক। 

আরও পড়ুন- পথ দুর্ঘটনার তত্ত্বে নারাজ, জাহাজ ফিল্ডে যুবক-যুবতীর মৃত্যুতে সিআইডি তদন্তের দাবি পরিবারের

বিধায়ক বাড়ি বয়ে এসে সংবর্ধনা দেওয়ায় খুশি সাফিদা খাতুন। সে বলে, “ভাবিনি বিধায়ক স্বয়ং বাড়িতে হাজির হয়ে উৎসাহ দিয়ে যাবেন। তবে আগামী দিনে এমন কাজ করতে চাই যাতে ফের বিধায়ক আমাকে নিয়ে গর্ব করতে পারেন।” সাহিন শেখের মা আশাকর্মী অরুণা বেওয়া বলেন, “এক বেলা খেয়ে না খেয়ে ছেলেকে পড়িয়েছি। এবার যখন ছেলে নিট পরীক্ষায় সফল হল খুব খুশি হয়েছি। কিন্তু টাকার কথা চিন্তা করে প্রাণটা শুকিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু, বিধায়কের প্রতিশ্রুতি পেয়ে মনে ভরসা পেলাম।” 

Share this article
click me!