চলছিল রেশন কার্ডে ভুল সংশোধন এবং ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরির কাজ। তার মধ্যে রটে গেল এনআরসি নিয়ে গুজব। যার জেরে মালদহের কালিয়াচকে এক নম্বর ব্লক আধিকারিকের অফিসে ভিড় জমালেন কয়েকশো মানুষ। এনআরসি আতঙ্ক কাটাতে শেষ পর্যন্ত মাইকে করে প্রচারও করতে হল সরকারি আধিকারিকদের।
মঙ্গলবার ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরিকে কেন্দ্র করে এভাবেই এনআরসি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল মালদহ জেলার কালিয়াচকের এক নম্বর ব্লকে। গোটা জেলার মতো মালদহতেও রেশন কার্ড সংশোধন এবং নতুন ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরির কাজ শুরু হয়েছে কালিয়াচকে। সেই কাজ চলছিল কালিয়াচক এক নম্বর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের দফতরে।
আচমকাই এলাকায় রটে যায়, ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি না হলে এনআরসি-তে নাম থাকবে না। এর পর পরই বিপুল সংখ্যক মানুষ ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরির জন্য ভিড় জমাতে শুরু করেন। রেশ কার্ডে নাম তোলার দন্। ফর্ম নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- অসমের পর এবার হরিয়ানা, এনআরসি চালু করার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী খট্টর
আরও পড়ুন- 'বাংলার সবথেকে অশিক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা', এনআরসি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ মুকুলের, দেখুন ভিডিও
এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয় প্রশাসনের কর্তারা। কালিয়াচক ১নম্বর ব্লকের বিডিও সন্দীপ ঘোষ,কালিয়াচক থানার আইসি আশিস দাস,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আতাউর রহমান সহ প্রশাসনের কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মানুষকে বোঝাতে শুরু করেন। এলাকাবাসীকে বোঝানো হয়, ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি বা রেশন কার্ড সংশোধন করার সঙ্গে এনআরসি-র কোনও সমপর্ক নেই। এর পরেই কিছুটা শান্ত হন সাধারণ মানুষ। যদিও বিভ্রান্তি যে পুরোপুরি কেটেছে, তা বলা যাবে না।
এনআরসি নিয়ে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছ, খোদ কালিয়াচকের এক নম্বর ব্লকের বিডিও সন্দীপ ঘোষও স্বীকার করে নিয়েছেন। সন্দীপবাবু বলেন,'সরকার তাড়াতাড়ি রেশন কার্ড তৈরি করে দেওয়ার জন্য ক্যাম্প চালু করেছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্যাম্প চলবে। কিন্তু অজানা কোনও আতঙ্কে মানুষ ভুল বুঝে ক্যাম্পে ভিড় করছেন। সম্ভবত এনআরসি নিয়ে আতঙ্কেই মানুষ এভাবে ভিড় জমাচ্ছেন। সবাইকেই বলব এভাবে আতঙ্কিত হবেন না। ধীরে সুস্থে এসে রেশন কার্ডে ছোটখাটো ভুল ঠিক করিয়ে নিন।'