কৌশিক সেন, রায়গঞ্জ: একমাসও লাগল না, করোনা আক্রান্তের নিরিখে 'ডাবল সেঞ্চুরি' করে ফেলল উত্তর দিনাজপুর জেলা! লকডাউনের কড়াকড়ি এখন আর নেই। আনলক পর্বে বিপদ আরও বাড়বে না তো? চড়ছে আশঙ্কার পারদ।
আরও পড়ুন: 'বাড়ি ফেরার অনুমতি দিতে হবে', কোয়ারেন্টাইনে সেন্টারে অনশনে পরিযায়ী শ্রমিকরা
তখন লকডাউন চলছে পুরোদস্তুর। উত্তর থেকে দক্ষিণ, এ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও হু হু করে বাড়ছে। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল উত্তর দিনাজপুর। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জেলায় একজনও করোনা আক্রান্ত ছিলেন না। কলকাতা যোগেই কি ছড়াল সংক্রমণ? ৯ মে প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে উত্তর দিনাজপুরে। দু'জনের বাড়ি রায়গঞ্জ ব্লকের শ্য়ামপুর ও শেরপুরে, আর এক হেমতাবাদের সমাসপুরে বাসিন্দা। সংক্রমণ ধরা পড়ে তিনজনের। জানা যায়, কলকাতা থেকে সাইকেল চালিয়ে ফিরেছিলেন তাঁরা। ফেরার পর ছিলেন হোম কোয়ারেন্টাইনে। লালারস বা সোয়াব পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। সেই শুরু, করোনা সংক্রমণকে আর বাগে আনা যায়নি। বরং যতদিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি যেন আরও ঘোরালো হয়ে উঠছে। মারণ ভাইরাস ঢুকে পড়েছে জেলাশহর রায়গঞ্জেও, সংক্রমিত হয়েছে এক স্কুলছাত্রী। স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, শনিবার পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০৪ জন!
ভিন রাজ্য থেকে স্পেশাল ট্রেনে চেপে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরেছেন উত্তর দিনাজপুরে। এরইমধ্যে আবার গোটা দেশের মতো আনলক প্রক্রিয়া চলছে এ রাজ্যেও। সরকারি বাস তো বটেই, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলায় চালু হয়ে গিয়েছে বেসরকারি বাসও। সচল পরিবহণ, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবনও। আর তাতেই প্রমাদ গুনছেন অনেকেই। আক্রান্তের সংখ্যাটা কোথায় পৌঁছবে! বাড়ছে আতঙ্ক।
আরও পড়ুন: মাতৃস্নেহের কাছ হার মানল করোনা, কোভিড হাসপাতাল থেকে উধাও মহিলা
কী বলছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা? উত্তর দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান জানিয়েছেন, 'আক্রান্তদের ৭৫ শতাংশ সেরে উঠেছেন। স্বাস্থ্য দপ্তর, পুলিশ ও প্রশাসন দিবারাত্রি কাজ করে চলেছে। অযথা আতঙ্কির হওয়ার কোনও কারণ নেই। সরকারি নির্দেশ মেনে চলুন সকলে।'