মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা কেন পিছিয়ে পড়া গ্রামের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকল না? সেই প্রশ্নই তুলছে জিলিং সেরেঙ। বঞ্চনার শিকার আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম জিলিং সেরেঙ, বলে ক্ষোভ গ্রামবাসীদের।
লক্ষ্মীপুজোর দিন অযোধ্যা পাহাড়ে ঘটা করে মহিলাদের (Women Applicant) হাতে লক্ষীর ভান্ডার তুলে দিয়ে লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmi Bhandar Account) প্রাপকদের বিশেষ ভাবে সন্মান জানালেও এখনও এই প্রকল্পের টাকা পাননি অযোধ্যা পাহাড়ের দুর্গম গ্রাম জিলিং সেরেঙের একজন মহিলাও। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা (money in Lakshmi Bhandar Account) কেন পিছিয়ে পড়া গ্রামের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে(Bank Account) ঢুকল না? সেই প্রশ্নই তুলছে জিলিং সেরেঙ। বঞ্চনার শিকার আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম জিলিং সেরেঙ, বলে ক্ষোভ গ্রামবাসীদের।
পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে যে ৮০টি আদিবাসী গ্রাম রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম দুর্গম গ্রাম জিলিং সেরেঙ। বাগমুন্ডি ব্লকের বুড়দা কালিমাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জিলিং সেরেঙের অবস্থান একদিকে বাগমুন্ডি অন্যদিকে ঝালদা এবং অপর প্রান্তে কোটশিলা থানার সীমানায়। জিলিং সেরেঙ গ্রামে মোট ৯০টি সাঁওতাল পরিবারের বাস। রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হলে গ্রামের প্রায় ৭২ জন মহিলা পাহাড়ের ১০ কিলোমিটার জল জঙ্গল পথ অতিক্রম করে পাহাড়ের নিচে বুড়দা কালিমাটি স্কুলে গিয়ে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন।
সব জায়গায় যখন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের দু মাসের টাকা ঢুকে গেছে, তখন দু মাস পেরিয়ে গেলেও জিলিং সেরেঙ গ্রামের এক জন মহিলারও অ্যাকাউন্টেও ঢোকেনি লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা। আবেদনকারী মেনকা মূর্মু, মালতি মূর্মু, গ্রামবাসী বোঁকা মুর্মুরা জানান এমনই তথ্য। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করার জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। এই প্রকল্পের ফলে মহিলারা অনেকটাই আত্মনির্ভর হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় দু মাস পেরিয়ে গেলেও একদিকে বাগমুন্ডি থানা অন্যদিকে ঝালদা থানা আরেকদিকে কোটশিলা থানার সীমানার দুর্গম গ্রাম জিলিং সেরেঙ গ্রামের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে এখনও টাকা ঢোকেনি। ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প সংক্রান্ত কোন মেসেজও আসেনি।
Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে
এই পাঁচ বলিউড সেলিব্রিটির কেরিয়ার প্রায় নষ্ট করে দিয়েছিলেন সলমন খান
পিরিয়ডসের সময় এই নিয়মগুলো মানেন তো, জেনে রাখা উচিত পুরুষদেরও
বুড়দা ব্যাঙ্কে গিয়ে বার বার খোঁজ নিয়েও হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে মহিলাদের। জিলিং সেরেঙ গ্রামের বাসিন্দারা জানান অযোধ্যা পাহাড়ের অন্যান্য গ্রামের অনেক মহিলার অ্যাকাউন্টে ২হাজার টাকা করে ঢুকে গেছে।কিন্তু জিলিং সেরেঙ গ্রাম প্রশাসনের নজর থেকে কিভাবে বাদ পড়ে গেল সেই ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদনকারীরা। বিষয়টি নিয়ে বাগমুন্ডি ব্লকের বিডিও দেবরাজ ঘোষ ফোনে জানান ব্লক থেকে কর্মীদের জিলিং সেরেঙ গ্রামে পাঠিয়ে গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন প্রশাসন ঠিক কি পদক্ষেপ নিচ্ছে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে অযোধ্যা পাহাড়ের প্রত্যন্ত গ্রাম জিলিং সেরেঙ।
এদিকে, পুজোর মুখে ৩ লক্ষেরও বেশি মহিলার অ্যাকাউন্টে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে নগদ টাকা ঢোকে। ভোট পর্ব মিটে যেতেই প্রায় ১০ লাখের বেশি মহিলা আবেদনকারীর মধ্যে এই টাকা জমা পড়ে। প্রথম দফায় ৩ লক্ষ মহিলা পুজোর মুখে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা পান। মুর্শিদাবাদ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে খুশির হাওয়া।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। ক্যাম্প শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই সমস্ত প্রকল্পের জন্য জেলায় প্রায় ৮ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৬লাখের কাছাকাছি আবেদন জমা পড়ে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য এক লক্ষ ১৯হাজার আবেদন জমা হয়। তারপর মাত্র কয়েকটি ক্যাম্প হয়েছিল। এর মধ্যেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদনের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে।