
শনিবার রাজ্য বিজেপি-র (BJP) ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu), রীতেশ তিওয়ারিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) গ্রুপ ত্যাগ, মতুয়া ক্ষোভ এবং বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে পর পর বৈঠকে (Meeting) বসার জেরে গেরুয়া শিবিরের মধ্যে বিরোধ ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই রবিবার দুপুরে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে মতুয়া মহাসঙ্ঘের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শান্তনু। নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) লাগু হওয়ার শেষ তারিখ পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কেন লাগু হয়নি? মতুয়া সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে রবিবার শান্তনুকে এমনই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার ঠাকুরবাড়ির বৈঠকে হাজির ছিলেন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং রাণাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে হয় বৈঠক। সূত্রের খবর, বৈঠকে মতুয়াদের দাবিদাওয়া নিয়েই আলোচনা হয়েছে। নাগরিকত্বের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকার কী ভাবছে, মূলত তাই নিয়েই হয়েছে আলোচনা। বৈঠকের পর শান্তনু বলেন, "এটা সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। জেলায় জেলায় সংগঠন কীভাবে কাজ করবে, তাই নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে।" একই কথা বলেন সুব্রতও। তিনি বলেন, "আজকের এই বৈঠক মতুয়া মহাসঙ্ঘের রুটিন বৈঠক। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে সিএএ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৯ জানুয়ারি। কিন্তু এখনও তা হয়নি ৷ এদিনের বৈঠকে সিএএ নিয়ে মতুয়া প্রতিনিধিদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে আমাদের। তাদের জবাবদিহি করতে হয়েছে যে কোন বাধ্যবাধকতা থেকে এখনও পর্যন্ত আইনটি লাগু হয়নি। মতুয়ারা এর সমাধান চাইছে।" তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী দিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এনিয়ে দরবার করবে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ। প্রয়োজনে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মতুয়ারা তাদের অধিকার আদায় করে নেবে।
সম্প্রতি নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করেছে বিজেপি। তারপর থেকেই দলের অন্দরে অনেকের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বিজেপি-র অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সায়ন্তন। নয়া কমিটি থেকে বাদ পড়ায় সায়ন্তন দলের সব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছিলেন। তাঁর পাশাপাশি অনেকেই গ্রুপ ত্যাগ করেছিলেন। এরপর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন শান্তনুও।
আরও পড়ুন- মমতার বাংলায় কি এবার এলন মাস্কের টেসলা, তীব্র উপহাস বিজেপির
এরপর শনিবার শান্তনুর সঙ্গে বৈঠকের পর বিদ্রোহীরা সোজাসুজি দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর অপসারণের দাবি তোলেন। তবে শুধুমাত্র অমিতাভ নন, তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধেও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অভিযোগ তোলা হয়েছে। রবিবারের বৈঠক প্রসঙ্গে মমতা ঠাকুর বলেন, "এটা সম্পূর্ণই নিজেদের গুরুত্ব বাড়ানোর কৌশল। নতুন করে আবার কিছু মতুয়াদের ভুল বোঝাবে।"