School Dropout: দীর্ঘ লকডাউনের জ্বলন্ত সমস্যা স্কুলছুট,পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরাতে একাধিক উদ্যোগ

উত্তর দিনাজপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক নিতাইচন্দ্র দাস জানিয়েছেন, শহর অঞ্চলে অধিকাংশ স্কুলেই উপস্থিতির হার প্রায় ১০০ শতাংশ। কিন্তু স্কুলছুলের সমস্যা বেশি দেখা দিয়েছে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলির জন্য। 

করোনাভাইরাসের (Coronavirus) কারণে  ২০ মাসেরও বেশি বন্ধ ছিল স্কুল। সম্প্রতি নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যস্ত স্কুল খুলেছে। কিন্তু আগের তুলনায় পড়ুয়া (student) সংখ্যা কমেছে। সংসারের আর্থিক অনটনের কারণে অনেকেই স্কুল ছেড়ে (school dropout) শিশু শ্রমিকের কাজ নিয়েছে। এই কেউ এই রাজ্যে তো কেউ এবার ভিনরাজ্যে চলে গেছেন ইতিমধ্যে। তাই স্কুল খোলার সঙ্গে সঙ্গেই স্কুল ছুট একটি জ্বলন্ত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে এই রাজ্যে। রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলির মত একই সমস্যা দেখা দিয়েছিল উত্তর দিনাজপুরে। 

উত্তর দিনাজপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক নিতাইচন্দ্র দাস জানিয়েছেন, শহর অঞ্চলে অধিকাংশ স্কুলেই উপস্থিতির হার প্রায় ১০০ শতাংশ। কিন্তু স্কুলছুলের সমস্যা বেশি দেখা দিয়েছে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলির জন্য। সেখানে অধিকাংশ স্কুল পড়ুয়া লকডাউনের (Lockdown) সময় দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশুনাকে একপ্রকার বিদায় জানিয়ে রোজগারের জন্য চলে গেছে অন্যত্র। তবে এই সমস্যা সমাধানে তিনি একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন নিততাইচন্দ্র দাস। ছেলে মেয়েদের স্কুলমুখী করাই তাঁর কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে প্রধানশিক্ষকদের। প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্কুল শিক্ষকদের পডুয়াদের খোঁজ নিতে হবে। কেন পডুয়ারা স্কুলে আসছে না তার রিপোর্টও তলব করেছেন তিনি। পাশাপাশি পডুয়াদের স্কুলে ফেরাতে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সর্বশিক্ষা অভিযানের পক্ষ থেকে স্কুলছুটদের স্কুলে ফেরাতে সমীক্ষা করা হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই যাতে স্কুলে উপস্থিতির হার বাড়ানো যায় সেদিই জোর দিচ্ছেন তিনি। 

Latest Videos

Babul Supriyo: 'এই তৃণমূল আর নয়', নিজের গাওয়া গান অস্বস্তি বাড়ল বাবুল সুপ্রিয়র

self-reliant in chop shilpo: মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় চপ ভেজে স্বনির্ভর, জানালেন পুরুলিয়ার তরুণ

তবে বেশ কয়েক জন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার প্রতিনিধি। তাঁদের কেউ জানিয়েছেন তাঁদের সন্তান শ্রমিকের কাজ নিয়ে  চলে গেছেন ভিন রাজ্যে। করনোকালে সংসারের আর্থিক অনটন মোকাবিলায় অনেক পড়ুয়া আবার ছোটখাট কাজ নিয়েছে। তাই তারা আর স্কুলে ফিরতে চায় না। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মানিক বর্মন জানিয়েছেন লকডাউনের সময় তাঁর এলাকা থেকে অনেক মানুষই পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে চলে গেছেন কেরল, হরিয়ানা, দিল্লি। স্কুল বন্ধ থাকায় অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়ে চলে গেছেন। তাই তাঁদের ফিরে আসাটা কতটা সম্ভব তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর কথায় তাঁর এলাকায় কাজ নেই। তাই রুজিরুটির টানেই ভিন রাজ্যে যেতে হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায় একালার ৩৫ শতাংশ পড়ুয়াই এখন কাজ করছেন সংসারের অনটন ঘোচাতে। তাই তারা স্কুলে ফিরবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। 

Deucha-Panchami: দেউচা-পাঁচামি কয়লাখনির প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা, সময় দেওয়ার আশ্বাস প্রশাসনের

কল্পনা রায়ের ছেলে তিতুন রায় তাহেরপুর স্কুলের পড়ুয়া ছিল। লকডাউনে আর্থিক অনটনের কারণে দিল্লিতে কাজ নিয়ে চলেছে গেছে তাঁর ছেলে। কিন্তু এখন সে আর স্কুলে যাবে না। স্কুল থেকে ইতিমধ্যেই শিক্ষকরা কল্পনার সঙ্গে কথা বলেছেন। ছেলে স্কুলে ফিরে যেতেও বলেছেন শিক্ষকরা। কিন্তু কল্পনা এখনও সেই বিষয়ে কিছুই জানাননি ছেলেকে। তাই প্রশ্ন উঠেছে তিতুনের স্কুলে ফেরা নিয়ে। শুধু তিতুন নয় দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ থাকায় তিতুনের মত অনেক পড়ুয়ারই জীবনের স্রোত অন্য খাতে বইয়ে দিয়েছে করোনার এই মহামারি। 
 

Share this article
click me!

Latest Videos

'ভাইপোর চাকর পুলিশ কেন বিজেপি পোলিং এজেন্টদের গ্রেফতার করল?' গর্জে উঠে প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু
'পুলিশ ও তৃণমূলের গুণ্ডারা সর্বত্র ভোট লুট করেছে' মারাত্মক অভিযোগ সুজন চক্রবর্তীর
বাজার থেকে ফেরার পথেই ঘটলো অঘটন! আতঙ্কের ছায়া শান্তিপুরে, দেখুন | Nadia News Today
'কত বড় সাহস! পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলেছে ভোট দিতে যাবে না' এ কী অভিযোগ করলেন শুভেন্দু
আর ৮ মাস! জুলাই-অগাস্টে রাজ্যে অকাল ভোট হতে চলেছে! জানালেন BJP সাংসদ | BJP News | Samik Bhattacharya