বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। তবে সর্বদলীয় বৈঠকে (all Party meet) দেখা গেল না তাঁকে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা (Leader of opposition) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu adhikari)-র এহেন আচরণ কিন্তু বেশ জল্পনা উসকে দিচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে। আসন্ন অধিবেশনের আগে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৭ই জুলাই পেশ হবে বাজেট। উল্লেখ্য, ২ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে নতুন সরকারের প্রথম বিধানসভার অধিবেশন।
আরও ১৫ দিন বাড়ল লকডাউনের বিধিনিষেধ, নবান্নে ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
তবে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দেখা মিলল না শুভেন্দুর। সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ বৈঠক শুরু হয়। বিজেপির তরফে উপস্থিত ছিলেন ৭৫ জন বিজেপি বিধায়ক ও একজন আইএসএফ বিধায়ক। তবে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী আমন্ত্রণ পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
হামলা বিজেপি কর্মীর ওপর, দিনে দুপুরে সামনে থেকে গুলি , উত্তাল ভাটপাড়া
এদিকে, সর্বদলীয় বৈঠকের আগে বিজেপির পরিষদীয় দল শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বেই বৈঠক করে। তারপরেও কেন সর্বদলীয় বৈঠকে দেখা মিলল না শুভেন্দুর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর আসন্ন অধিবেশনে ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে সরব হবে বিজেপি। সেই প্রেক্ষিতে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার এই বৈঠকে না থাকাকে বেশ ইঙ্গিতবহ বলেই মনে করা হচ্ছে।
জিভ পরিষ্কার রাখলেই কমবে বয়স, জানুন কীভাবে
বিজেপি সর্বদলীয় বৈঠক বয়কট করবে, এমন ইঙ্গিত মিলেছিল। সেই সূত্র ধরেই কি অনুপস্থিত থাকলেন শুভেন্দু অধিকারী, প্রশ্ন উঠছে। বৈঠকের পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, বিধানসভার বিরোধী দলনেতার উপস্থিতি কাম্য ছিল। সূত্রের খবর, বিধানসভায় প্রথম থেকেই নতুন সরকারকে চাপে ফেলতে চাইছে বিজেপি। তাই এবার কসবার ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারি ইস্যু নিয়ে নিশানা করতে পারে গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত, কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে শাসক দলের শীর্ষ নেতা মন্ত্রীর ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। উঠে এসেছে ফলক ইস্যু। এহেন পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিবাদ জানিয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, কলকাতায় ভ্য়াকসিনকাণ্ডে ধৃতকে সরকার নিরাপত্তা দিয়েছে। সবাই চিনতেন। ফটোও আছে। ধরা পড়ে গেলে একটা তদন্ত কমিশন গড়ে দায় সারা হচ্ছে। এই ঘটনায় তো কলকাতা পুরসভাও জড়িত। অথচ এখন নেতারা বলছেন চিনি না।' আর এবার এই ইস্যুতেই তৃণমূলের সরকারকে কুপোকাৎ করতে চায় গেরুয়া শিবির।