দল বা বিধায়ক পদ ছাড়ার কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। হলদিয়ায় অরাজনৈতিক সভা থেকে নাম না করে তৃণমূলকে নিশানা করলেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের বহিরাগত তত্ত্বকে। পাশাপাশি, গণতন্ত্র নিয়েও শাসকদলকে নিশানা করলেন তিনি। একইসঙ্গে, তাঁর প্রতি ব্যক্তিগত আক্রমণ নিয়েও তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের হুঁশিয়ারী দিলেন শুভেন্দু।
মঙ্গলবার হলদিয়ায় প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশ সামন্তের জন্মবার্ষিকী কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই অরাজনৈতিক সভা থেকেই নাম না করে পরোক্ষভাবে আক্রমণ করলেন তৃণমূলকে। তৃণমূলের 'বহিরাগত' তত্ত্বকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ''জহরলাল নেহেরু প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সতীশ সামন্তকে সবসময় সমীহ করে চলতেন। সতীশ বাবু এগিয়ে এলেই প্রধানমন্ত্রী উঠে দাঁড়াতেন। সতীশবাবু কখনও জহরলাল নেহেরুকে বহিরাগত ভাবতেন না। আর জহরলাল নেহেরু কখনই সতীশ সামন্তকে হিন্দিভাষী ভাবতেন না''।
শনিবারই বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন শুভেন্দু, একই দিনে রাজ্য় আসছেন শাহ
পাশাপাশি, কিছু রাজনৈতিক নেতার তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ নিয়ে মুখ খোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ''পদে থাকা বড় বড় নেতারা আমাকে ব্যক্তি আক্রমণ করছেন। বুজতে পারবেন জনগণ যখন ভোট দেবে। আপনাদের অবস্থা অনিল বসু, বিনয় কোঙার আর লক্ষ্মণ শেঠদের মত হবে। সংবিধানের কথা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে ফর দ্যা পিউপল, বাই দ্যা পিউপল, অফ দ্যা পিউপল ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। কেন পশ্চিমবঙ্গে ফর দ্যা পার্টি বাই দ্যা পার্টি অফ দ্যা পার্টি ব্যবস্থা থাকবে''।
তিনি আরও বলেন, ''এই গণতন্ত্রের পক্ষে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে লড়াইয়ে সেবক শুভেন্দু অধিকারী থাকবে। যাঁরা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছেন। তাঁরা শুনে রাখুন, মানুষ আমাকে ঠিক জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী কোনও পদের লোভ করেন না। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরও আমার সভাতে লোক আসছে। এদের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক আছে''। এই সভায় শুভেন্দুর মন্তব্যের পর রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছে।