করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এবছরের মতো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আগেই বাতিল করা হয়েছে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু, কীভাবে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন হবে তা এখনও ঘোষণা করেননি তিনি। তবে আগামীকাল এনিয়ে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি জুলাইয়ের মধ্যেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
করোনা আবহে ইতিমধ্যেই একাধিক বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়ুয়াদের পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা উচিত নয় বলে জানিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর সেই একই পথে হাঁটে রাজ্য সরকারও। এবছরের মতো বাতিল করা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তবে সেই বিষয়ে নিজের মত পড়ুয়াদের উপর চাপিয়ে দেননি মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই দ্বাদশ শ্রেণির ফল ঘোষণা, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল CBSE
এই পরীক্ষাগুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছিলেন মমতা। এই কঠিন পরিস্থিতিতে পরীক্ষার আয়োজন সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছিল ওই কমিটি। এরপর পরীক্ষা হওয়া উচিত কি না তা পড়ুয়া, অভিভাবক ও আমজনতার কাছে জানতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে ৮৩ শতাংশ মানুষ পরীক্ষা বাতিলের পক্ষে ছিলেন বলে জানান তিনি। তারপরই পরীক্ষা বাতিল করা হয়। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "বিশেষজ্ঞ কমিটিও বলেছে যে এই সময় পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়। যেহেতু মহামারী চলছে, অনেক স্কুল সেফ হাউস হয়ে গিয়েছে। নানা রকম ব্যাপার আছে। তাই আমরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিচ্ছি না।" ফলে স্বাভাবিকভাবেই মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফলপ্রকাশ হবে। আর মূল্যায়ন কীভাবে হবে তার ঘোষণা হবে আগামীকাল।
আরও পড়ুন- মুকুল রায়ের আর্জি মানল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, নিরাপত্তা প্রত্যাহার
এদিকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হবে সিবিএসই পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে বলে সুপ্রিম কোর্টকে আজ সিবিএসই-র তরফে জানানো হয়েছে। দশম শ্রেণির পারফরমেন্সের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণীর ফলাফল। ৩০ শতাংশ ওয়েটেজ থাকবে দশম শ্রেণির পারফরমেন্সে এবং ৪০ শতাংশ ওয়েটেজ থাকবে একাদশ ও দ্বাদশের পারফরমেন্সে। সেইসঙ্গে নজরে থাকবে ইউনিট টার্ম ও প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার ফলও।
বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে অ্য়াটর্নি জেনারেল কেকে ভেনুগোপাল জানিয়েছেন, দ্বাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রে প্র্যাক্টিক্যাল থাকবে। অন্যান্য নম্বর যাই হোক না কেন, প্র্যাক্টিক্যালে ১০০ নম্বর থাকবে। পাশাপাশি বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, যে পড়ুয়ারা প্রাপ্ত নম্বরে সন্তুষ্ট হবে না, তাঁরা পুনরায় পরীক্ষায় বসতে পারবেন।তবে এই পরীক্ষা কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই নেওয়া হবে। সেই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর চূড়ান্ত বলেই বিবেচিত হবে। দশমের ক্ষেত্রে ৫টি বিষয়ের মধ্যে সেরা তিনটি বিষয়ের নম্বর নেওয়া হবে। কোনও ছাত্র-ছাত্রী নিজের নম্বর বা গ্রেডেশন নিয়ে অখুশি থাকলে, কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বা স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত সময়ে সশরীরে পরীক্ষায় বসে তা শুধরে নিতে পারবে।