উত্তর চব্বিশ পরগণার মধ্যমগ্রামে ভর সন্ধ্যেবেলা তৃণমূল কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূলের যুবনেতা বিনোদ সিং এবং তার এক অনুগামী। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের নওদাতেও তৃণমূল কার্যালয়ে ঢুকে গুলি করে খুন করা হল এক তৃণমূল নেতাকে।
এ দিন সন্ধ্যায় মাধ্যমগ্রাম পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলা বাজারে বোমা ছুড়তে ছুড়তে তৃণমূল কার্যালয়ে ঢুকে পরে তিন চারজন দুষ্কৃতী। সেই সময় কার্যালয়ের ভিতরে ছিলেন তৃণমূলের যুবনেতা বিনোদ সিং ওরফে রিঙ্কু এবং তাঁর অনুগামী দীপক বসু। তাঁদের লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে বলে অভিযোগ। দু' পক্ষে ধস্তাধস্তিও হয়। গুলিবিদ্ধ হন বিনোদ এবং দীপক। এর পরে হেঁটেই এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা।
গুরুতর আহত অবস্থায় দু' জনকে উদ্ধার করে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হামলার পিছনে রাখাল নন্দী বলে স্থানীয় এক দুষ্কৃতী আছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। স্থানীয়দের আরও দাবি, এলাকা দখলের লড়াইয়ের জেরেই এই হামলা। যদিও, তৃণমূল জেলা সভাপতি ও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অভিযোগ, এই হামলার পিছনে বিজেপি অথবা সিপিএম রয়েছে। পুলিশি তদন্তের পরেই তা স্পষ্ট হবে বলে দাবি খাদ্যমন্ত্রীর।
অন্যদিকে এ দিন রাতেই মুর্শিদাবাদের নওদায় টুঙ্গি এলাকায় তৃণমূল কার্যালয়ে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে এক তৃণমূল নেতাকে খুন করা হয়। মৃতের নাম নিমাই মণ্ডল (৫২)। মধ্যমগ্রামের মতোই নওদাতেও বোমা ছুড়তে ছুড়তে পার্টি অফিসে ঢোকে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা।
নিহত তৃণমূল নেতা আগে সিপিএমে ছিলেন। তৃণমূলের নওদার বালি এক নম্বর অঞ্চল সভাপতি ছিলেন নিমাইবাবু। পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন তিনি। প্রায় সাত বছর আগে দলবদল করেছিলেন নিমাইবাবু। দলের মধ্যে দক্ষ সংগঠক বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। এই ঘটনার পিছনে বিজেপি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের।