পরাগ মজুমদার, মুর্শিদাবাদ- রবিবার ছুটির দিনে ভ্য়ালেটাইন ডে মাতল নবাব নগরী। দিনভর হারিয়ে যাওয়া লালবাগের হাজারদুয়ারীর কোন এক কোণে অথবা মতিঝিল পার্কের শান্ত পথে। তিলত্তমা কলিকাতার মত এত জৌলুস হয়ত নেই ঠিকই,তা বলে এই বিশেষ দিনটির উদ্দীপনায় ভাটা পড়েনি। উত্তর থেকে জেলার দক্ষিণের বেলডাঙার ছাপাখানার বাজার,অন্যদিকে পূর্বের জলঙ্গী মোড় থেকে লালবাগ মহকুমার পলসন্ডা চত্বর সবর্ত্রই 'সাম ওয়ান স্পেশালকে খুশি করার হাজারো আয়োজন।
আরও পড়ুন-'সব নিময় ভেঙে দীনেশকে রাজ্যসভায় বলতে দেওয়া হল কেন', প্রশ্ন তুলে তদন্ত দাবি সুখেন্দশেখরের
অধিকাংশই হয় স্কুল পড়ুয়া, নইলে বড় জোর সবে মাত্র কলেজ ছেড়েছে।পকেটের অবস্থাও নেহাত ভাল নয়। কদিন দুয়েক পরেই সামনে বাগদেবী কে আহ্বান জানানোর পালা, সেবারও পকেট গলে সারা মাসের জমানো পুঁজি খরচ হবে, তাই এদিন বড্ড আক্ষেপ করে লালবাগের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস সেন্টেনারি কলেজ তৃতীয় বর্ষের এক পড়ুয়া মুচকি হেসে বলে, সামনে সরস্বতী পুজোতে জমানো পকেট খরচের সবটাই প্রায় শেষ হয়ে যাবে, তা বলে 'ভ্যালেন্টাইন ডে' এর আনন্দটা তোর নষ্ট করা যাবে না, দেখছি বন্ধুদের বলে কিছু একটা ম্যানেজ করে ফেলবো"।
দ্বাদশ শ্রেণীর কলা বিভাগের এক ছাত্রী বলেন,"প্লিজ আমার নামটা জিজ্ঞাসা করবেন না, বুঝতেই তো পারছেন বাড়িতে জানালে বকা বকি করবে এই দিনটা আমি ও আমার বন্ধুর উভয়ের কাছেই খুব স্পেশাল,আমাদের তো বেশী সামর্থ নেই ,তাই বাইরে ভালো কোন জায়গায় ঘুরতে যেতে পারবো না, একে ওপরের জন্য লালগোলাপ আর দুট কার্ড কিনেছি মাত্র"। স্বভাবতই শহরের পর গ্রামেও বাঙালির চিরন্তন 'ভ্যালেন্টাইন ডে' স্বরস্বতী পুজোকে সমানে টেক্কা দিচ্ছে পাশ্চাত্যের 'চৌদ্দই ফেবুয়ারীর' এই দিনটি।