ফের করোনার থাবা নলহাটি পুরসভায়, এবার আক্রান্ত খোদ ভাইস চেয়ারম্যান

  • করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বীরভূমে
  • সংক্রমিত হলেন নলহাটি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান
  • সংক্রমণ ধরা পড়েছে সরকারি চিকিৎসকেরও
  • বন্ধ হয়ে গেল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র
     

Asianet News Bangla | Published : Aug 3, 2020 9:44 AM IST / Updated: Aug 03 2020, 04:02 PM IST

আশিষ মণ্ডল, বীরভূম:  সাফাইকর্মীর পর এবার আক্রান্ত হলেন খোদ ভাইস চেয়ারম্যান। কোভিড হাসপাতালে ভর্তি তিনি। ফের করোনা থাবা বীরভূমের নলহাটি পুরসভায়। করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক চিকিৎসকেরও। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। দুর্ভোগ পড়েছেন রোগীরা।

আরও পড়ুন: টেলিভিশনই হাতিয়ার, লকডাউনে এবার স্মার্টফোন ছাড়াই 'ক্লাস' করতে পারবে পড়ুয়ারা

গোটা রাজ্যে জুড়েই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বাদ নেই বীরভূমও। দিন কয়েক আগে নলহাটির পুরসভার এক সাফাইকর্মী পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পুরসভার বাকী কর্মীদের ও পদাধিকারীদের তো বটেই, তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও লালারস সংগ্রহ করা হয়। সংক্রমিত হয়েছেন ৯ জন। সেই তালিকায় রয়েছেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৌহিদ শেখও। এমনকী,  পুরসভার সাফাইকর্মী প্রথম  আক্রান্ত হন, তাঁর পরিবারের আরও তিনজনেরও করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।নলহাটি শহর তৃণমূলের পিন্টু সিংহ জানিয়েছেন, 'যাঁদের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাঁদের প্রত্যেকেই রামপুরহাটে কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লোকেদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। এলাকাটি কন্টেনমেন্ট জোন হিসেব চিহ্নিত করা হয়েছে।'

আরও পড়ুন: করোনার আতঙ্ক, মৃত্যুর পরেও রেহাই নেই বৃদ্ধের

এদিকে আবার গত কয়েক দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে নলহাটি ১ নম্বর ও ২ নম্বর ব্লক এলাকায়। ২ নম্বর ব্লকের লোহাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য ভিড় বাড়ছে রোগীদের। এবার ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত এক চিকিৎসক সংক্রমিত হলেন। অন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী-সহ ৩০ জন হোম কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আপাতত সাতদিন বন্ধ থাকবে নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের লোহাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ফলে চিকিৎসা করাতে এসে ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা। কেউ কেউ আবার চলে যাচ্ছেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।

লোহাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ সুরজিৎ কর্মকার বলেন,  'অধিকাংশ স্বাস্থ্য কর্মীর জ্বর। অনেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে গিয়েছেন। তাদের রিপোর্ট এখনও আসেনি। একার পক্ষে হাসপাতাল চালানো সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য দপ্তর যদি কর্মী পাঠায়, তাহলেই হাসপাতাল খুলবে।'

Share this article
click me!