উপস্থিত ছিলেন তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী-সহ জেলার একাধিক বিশিষ্ট নেতা। এই সময়ই সায়ন্তিকাকে ঘিরে ধরে অভিযোগ জানাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। পাশাপাশি আবাস প্রকল্পে বাড়ি না পাওয়ার অভিযোগও জানান তাঁরা।
শতাব্দির পর এবার সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে অভিনেতা তথা তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন তৃণমূলের তারকা নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামবাসীদের দাবি কল থাকলেও জল নেই। দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূত হিসেবে বাঁকুড়া দু'নম্বর ব্লকের জুনবেদিয়া গ্রামে যান সায়ন্তিকা। নেত্রীর সঙ্গে ছিলেন তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী-সহ জেলার একাধিক বিশিষ্ট নেতা। এই সময়ই সায়ন্তিকাকে ঘিরে ধরে অভিযোগ জানাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। পাশাপাশি আবাস প্রকল্পে বাড়ি না পাওয়ার অভিযোগও জানান তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রীর রক্ষাকবচ কর্মসূচিতে উঠে আসছে মানুষের অসন্তষ। উল্লেখ্য এই দিনই শাসকদলের মিছিল থেকে রাজ্য সরকারের পানীয় জল প্রকল্পের সাফল্যের কথা তুলে ধরে স্লোগান দেওয়া হয়,'ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দিল কে? মমতা ব্যানার্জি আবার কে।' কিন্তু এরপরই গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলায় অন্য চিত্র উঠে এল। দিকে দিকে মানুষের অসন্তোষ। বাঁকুড়া দুনম্বর ব্লকের জুনবেদিয়া গ্রামে যান তৃণমূলের তারকা নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তাঁকে ঘিরে ধরে নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা জানান গ্রামবাসীরা। রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের ঘরে ঘরে পানীয় জল পরিষেবা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায় উত্তরে গ্রামবাসীরা জানান এক বছর ধরে জল পাচ্ছেন না তাঁরা। জল সমস্যার পাশাপাশি রাজ্যের আবাস প্রকল্প নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। আবাস প্রকল্পে বাড়ি না পাওয়ার অভিযোগও জানান তৃণমূল নেত্রীকে। সায়ন্তিকা গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেছেন এবং গোটা ব্যপারটির দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছেন।
কী বললেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়?
'একটা সমস্যা রয়েছে বার্ধক্যভাতা, সেক্ষেত্রে একটা কমিউনিকেশন গ্যাপ হয়েছে। এছাড়া জুনবেদিয়ায় সব জায়গা থেকে একটা সমস্যা উঠে আসছে সেটা হচ্ছে জলের সমস্যা। সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি ইতিমধ্যেই। মূলত টেকনিক্যাল সমস্যাটার সমাধান আগে করতে হবে। আর একটি সমস্যা হল আবাস প্রকল্প। আমাদের এখানে যখন সার্ভে হয়েছিল তখন যাঁরা বাড়ি পায়নি তাঁদের নাম যখন পোর্টালে আপলোড করা হয়েছিল তখন পোর্টালটি বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে পোর্টালটি বন্ধ। যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় সরকার পোর্টালটি চালু করছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা বাকিদের বাড়ি দিতে পারছি না। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের উপর দয়া করলে আমরা আমাদের মা বোনদের বাড়ি দিতে পারব।'
আরও পড়ুন -
বীরভূমে বিক্ষোভ 'দিদির দূত' শতাব্দী রায়কে ঘিরে, দেবাংশু ভট্টাচার্যের অবস্থাও তথৈবচ
অনুব্রতর গড়ে হাল ধরতে যাচ্ছেন স্বয়ং মমতা, জানুয়ারি মাসেই বীরভূমে তৃণমূলনেত্রীর আবির্ভাব