রবিবার সকালে মৃত কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে যান অধীর চৌধুরী। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরই ভোটে হিংসা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেন অধীর।
'আর কত মানুষকে হত্যা করা হবে?' ভোট সন্ত্রাসে মৃত মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার পরে তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, 'আর কতত লোককে হত্যা করা হবে?'
ভোটের দিন নিজের বাড়িতেই থাকা অবস্থায় বোমাবাজিতে মৃত্যু হয় নওদার কংগ্রেস কর্মী হাজি লিয়াকতের। রবিবার সকালে মৃত কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে যান অধীর চৌধুরী। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরই ভোটে হিংসা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেন অধীর। তিনি বলেন, 'এ কী করছেন মুখ্যমন্ত্রী! এত খুন করে মাহাত হবেন? আর কত লোককে মারবেন? ২-১টা সিট কম পেলে আপনার মুখ্যমন্ত্রীর পদ চলে যেত না! আপনার মুখ্যমন্ত্রীর গদিও থাকত।' এখানেই শেষ নয়, এদিন অধীর বলেন ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হিংসা কমছে না। ভোট গণনার দিন হিংসা আরও বাড়বে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বাড়ি থেকে বার হবেন না। ১১ তারিখের পরই তিনি বাড়ি থেকে বার হবে। তখন ওঁর পা ভাল হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন পা নিয়ে নাটক করছেন মমতা। বাংলার মানুষ এবার এটা বুঝে যাবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ইস্যুতেও মুখ খুলেছেন অধীর চৌধুরী। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সেটিং হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। তৃণমূলকে সুবিধে করে দিতেই আনা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কোনও কিছু না করার। তারপরই তিনি বলেন ভোটের দিন বেলা ১২টার সময় কোনও কোনও বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছেছে। তারা কী করে কাজ করবে - তাই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অধীর।
পঞ্চায়েত ভোটে নিহত ৬২ বছরের হাজি লিয়াকত দীর্ঘ দিনের কংগ্রেস কর্মী। তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে শোক প্রকাশ করেন অধীর। পাশে থাকার আশ্বাসও দেন। পঞ্চায়েত ভোটে দিন ঘোষণার পর থেকে এপর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়েছে। শুধুনমাত্র ভোটের দিনেই মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। যা নিয়ে বিরোধীরা কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বিরোধীরা। ভোটের পরেও রাজ্যের একাধিক এলাকায় সন্ত্রাস অব্যাহত রয়েছে।