বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে কী কী ব্যবস্থা সীমান্তে? সোমবার দীর্ঘ বৈঠকের পর জানাল BSF

শেখ হাসিনারা পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন বাড়়ছে। বাংলাদেশ থেকে এই দেশে অনেকেই পালিয়ে আসার চেষ্ট করছে। এই অবস্থায় সীমান্তে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে বিএসএফ।

গত চার মাসে শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গে অনুপ্রহেশের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে বলে দাবি করেছে বিএসএফ। অনুপ্রবেশ আটকাতে কঠোর হচ্ছে বিএসএফ।

অনুপ্রবেশেরকারীদের প্রতিরোধের জন্য সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। যে জায়গাগুলিতে ফেন্সিং ছিল না সেখানে ফেন্সিং দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে সীমান্তে , বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের সীমান্তে নদরদারি বাড়ান হয়েছে। জওয়ানের সংখ্যাও বাড়ান হয়েছে।

উত্তরবঙ্গের অধীনে ৮ জেলার অধীনে থাকা প্রায় ১৯৩৭ কিলোমিটার ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন রয়েছে বিএসএফ।

অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েনের পাশাপাশি থার্মাল ক্যামেরা, নাইট ভিশন ক্যামেরা, সিসি ক্যামেরা এবং ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি করা হচ্ছে। সীমান্তে পারাপারের জায়গায় বসানো হয়েছে বায়োমেট্রিক মেশিন।

সোমবার বিএসএফএফ-র পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। বলা হয়েছে সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

সোমবার শিলিগুড়ি ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ দাবি করেছে, তিন বিঘা করিডর নিয়ে যে জটিলতা ছিল সেটাও কেটে গেছে।

বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আগস্ট মাসের পর থেকেই অনুপ্রবেশের সংখ্যা বেড়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু। রাজ্য সরকার সীমান্ত ঘিরতে সহযোগিতা করছে।

চলতি বছর ১৯৪ জন বাংলাদেশি ও ১৯৭ জন ভারতীয় বেআইনিভাবে সামান্ত পারাপারের সময়ে ধরা পড়েছে। এছাড়াও তিন রোহিঙ্গা তিন অন্য সম্প্রদায়ের অনুপ্রবেশকারী ছিল। মোট সংখ্যা ৩৯৭ জন।