বিজেপি দলের পঞ্চায়েত প্রধান, উপ প্রধান এবং পঞ্চায়েত সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছেন তৃণমূলে। এখন ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপির হাতে রয়েছে মাত্র ১০টি। বাকি ১১৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে।
কোচবিহারে তাসের ঘরের মতো বিজেপি ভাঙতে শুরু করেছে। ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতে নতুন করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ৩৯ হাজার ২৫০ভোটে পরাজিত হয় তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার কাছে। তারপর থেকে জেলাজুড়ে বিজেপির ভরাডুবি দেখা যায়।
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের পর একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির হাতছাড়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে কোচবিহারে আশ্চর্যজনকভাবে বিজেপির ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। জেলায় ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল মাত্র ২৪টি আসনে এবং তৃণমূল কংগ্রেস ১০৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়লাভ করেছিল।
বিজেপি দলের পঞ্চায়েত প্রধান, উপ প্রধান এবং পঞ্চায়েত সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছেন তৃণমূলে। এখন ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপির হাতে রয়েছে মাত্র ১০টি। বাকি ১১৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে। তৃণমূলের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপির দখলে থাকা অন্দরান ফুলবাড়ি ১ ও ২, নাটাবাড়ি ১, বারকোদালি ২, ফুলবাড়ি, কুচলিবাড়ি, বাগডোকরা, নয়ারহাট, পারাডুবি, ঢাংঢিংগুড়ি, মাতালহাট, ভেটাগুড়ি ১ ও ২, বলরামপুর ২ সহ মোট ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
যদিও বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদিকা মিনতি ইশোর বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যরা জয়লাভ করে। সেই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে সন্ত্রাস করে, ভয় দেখিয়ে, মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। তাঁরা বাড়িতে থাকতে পারছেন না। এমনকী তাদের পরিবার এবং সন্তানদেরও ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল।
ফুলবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুক্লা সরকার অধিকারী বলেন, জনগণের ভোটের দ্বারা আমরা প্রধান হয়েছি। আমরা চাই গ্রামের উন্নয়ন করতে, মা মাটি মানুষের সেবা করতে এবং সরকারি কাজকর্ম যাতে আমরা সঠিকভাবে করতে পারি সেই কারণেই আমরা তৃণমূলের যোগদান করলাম। আমরা নিজের ইচ্ছায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।