ফিরহাদ হাকিম বলেন, কলকাতা কোনও আনএসেসড প্রপার্টি নয়। প্রয়োজনে কলকাতা পুরনিগমের নামে সম্পত্তির নামকরম করা হবে।
বৃহস্পতিবার নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বৈঠকে প্রাশনিক অধিকর্তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন দফতরের সচিব, পুরপ্রধান সকলেই উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই সরকারি জমি অধিগ্রহণ নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। প্রশ্ন তুলেছিলেন সরকারি জমি নিয়েও। বৈঠকের পরই বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকের মুখোমিখি হয়ে জমি অধিগ্রহণ ইস্যুতে কড়া বার্তা দেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, কলকাতা কোনও আনএসেসড প্রপার্টি নয়। পাশাপাশি হকারদের পাশেও দাঁড়ান ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, কলকাতা কোনও আনএসেসড প্রপার্টি নয়। প্রয়োজনে কলকাতা পুরনিগমের নামে সম্পত্তির নামকরম করা হবে। ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, 'মালিকানা নেই এমন সম্পত্তি সরকারের প্রপার্টি। পরে মালিকানা তৈরি করিয়ে একটা অসাধু প্রমোটিং গ্রুপ নিজেদের নামে করে নেয়। তা বন্ধ করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আনএসেসড প্রপার্টি সবই কলকাতা পুরসভার নামে অ্যাসেস করা হবে। সত্যি মালিকানা থাকলে সেই দলিল এনে দেখিয়ে নিজের নামে করিয়ে নেবে।'
কলকাতার ফুটপাতের বেআইনি দখল নিয়েও । এদিন সেই প্রসঙ্গেও কথা বলেন, কলকাতা পুরসভার মেয়র। তিনি বলেন, বেকার ছেলেরা হকারি করবেন এটা ঠিকই আছে। কিন্তু তার মানেই নোংরা করে রাখবে, সব জায়গা দেখল করবে, এটাও মেনে নেওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু জায়গায় ফুটপাথ দখল করে অনেকেই নিয়ম মেনে ব্যবসা করছেন। কিন্তু অনেক জায়গায় তা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, আগুন লাগলেও সমস্যায় পড়তে হয় স্থানীয়দের।। ফিরহাদের কথায়, 'হকার বসবে, তাই বলে বেলাগাম হবে কেন? জবরদখল সরাতে হবে কলকাতা থেকে।'
সরকারি জমি জবরদখল নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবারই পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেন। জবরদখল রুখতে কাজ করবে সেই কমিটি। সেখানে রয়েছেন শীর্ষ আধিকারিকরা। কমিটিতে রয়েছেন মনোজ পন্থ, প্রভাত মিশ্র, মনোজ ভার্মা, বিনীত গোয়েলরা।