DA Case: সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্যের সরকারি কর্মীদের, একটি কারণে অনিশ্চিত মহার্ঘ ভাতা মামলা
রাজ্যের সরকারি কর্মীরা আবারও ধাক্কা খেল সুপ্রিম কোর্টে। ৬ মাস বাদে ওঠার পরে আবারও সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার শুনানি।
Saborni Mitra | Published : Jan 7, 2025 4:46 PM / Updated: Jan 07 2025, 04:54 PM IST
সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা
দীর্ঘ ৬ মাস পরে মঙ্গলবার আবারও সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা মামলা। এটাই ছিল ১৪তম শুনানি।
মামলা ওঠে
সুপ্রিম কোর্টের চার নম্বর আদালত কক্ষে মঙ্গলবার দুপুর ৩টে ৩০ মিনিটে উঠেছিল ডিএ মামলা। বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি এনভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চে।
বিচারপতিদের বার্তা
মামলা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিচারপতির জনিয়ে দেন ডিএ মামলার বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু আজ আর সময় নেই।
আদালতের মন্তব্য
এই মামলার দীর্ঘ শুনানি প্রয়োজন। প্রথমে চার সপ্তাহ বাদে শুনানির কথা বলেন। এই সময় মামলাকারীদের আইনজীবী করুণা নন্দী নির্দিষ্ট তারিখের অনুরোধ করেন। তার পরই মার্চে শুনানির নির্দেশ দেন বিচারপতি ঋষিকেশ রায়।
পাল্টা আবেদন
মামলাকারীদের আইনজীবী করুণা নন্দী সংশ্লিষ্ট মামলাটি তালিকার শুরুর দিকে রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিচারপতিরা কোনও কথা না বললেও তাঁর আবেদন গুরুত্ব দিয়ে শোনেন।
ডিএ মামলা নিয়ে অনিশ্চিয়তা
আইনজীবীরা জানিয়েছেন যে বিচারপতি রায়ের অবসরের দিন চলে আসায় নয়া বেঞ্চে ডিএ মামলা উঠবে। তাই ঠিক কবে ডিএ মামলা ফের উঠবে, তা নির্দিষ্টভাবে জানানো হয়নি।
নতুন বেঞ্চে মামলা
হৃষিকেশ রায়ের অবসরের পরে নতুন বেঞ্চ তৈরি হবে। তাই আগামী মার্চে নতুন বেঞ্চ গঠন করে ডিএ মামলার শুনানি হতে পারে।
ডিএ মামলার ২ বছর
রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে চলছে প্রায় ২ বছর ধরে। বারবার পিছিয়ে গেছে মামলা।
সুপ্রিম রায়ই শেষ কথা
রাজ্যের সরকারি কর্মীরা মনে করছেন মনে করছেন যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছাড়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ইতিবাচক কোনও খবর পাবেন না। তাই সেদিকেই তাকিয়ে আছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।
রাজ্য কেন্দ্রের ডিএর ফারাক
রাজ্য ও কেন্দ্রের ডিএ-র ফারাক অনেকটা। কেন্দ্রের কর্মীরা ৫৩ শতাংশ হারে ডিএ পান। রাজ্যের কর্মীরা ১৪ শতাংশ হারে ডিএ পেয়ে থাকেন।
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সেইসময় রাজ্য সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) দাখিল করা হয়েছিল। কারণ হাইকোর্ট ডিএ দেওয়ার পক্ষেই রায় দিয়েছিল।