দেবাংশুর ভবিষ্যদ্বাণী যদি সত্যি হয় তাহলে গত বারের থেকে এবার একটা হলেও বেশি আসন পাবে তৃণমূল। তবে দেবাংশু তাঁর পোস্টে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে ভুলে যাওয়ার কথা বলেছেন।
লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার আগেই বিস্ফোরক তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। সপ্তম দফা নির্বাচনের আগেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রীতিমত চমক দিলেন দেবাংশু। তিনি জানিয়ে দেন এই লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি কটি করে আসন পাবে।
দেবাংশুর ভবিষ্যদ্বাণী যদি সত্যি হয় তাহলে গত বারের থেকে এবার একটা হলেও বেশি আসন পাবে তৃণমূল। তবে দেবাংশু তাঁর পোস্টে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে ভুলে যাওয়ার কথা বলেছেন। পাশাপলাশি তিনি বলেছেন তাঁর রাজ্যের ভবিষ্যদ্বাণী তিনি নিজেই করেন। তিনি বলেন, এবার বিজেপি পাবে ১৮টি আসন। আর তৃণমূল কংগ্রেস পাবে ২৩টি আসন। তিনি আরও বলেন, গতবার বিজেপি ১৮টি আসন পেয়েছিল এবার সেই আসন একটি কমে তৃণমূলের ঝুলিতে যাবে। তৃণমূল ২৩টি আসন পাবে। পাশাপাশি তিনি নিজের টুইটটি সংরক্ষণ করে রাখার কথাও বলেন। দেখুন দেবাংশুর টুইটঃ
দেবাংশু বলেছেন, 'পিকের কথা ভুলে যান। আমার রাজ্য বাংলায় কী হবে সেটা জেনে নিন। ২০১৯ সালে টিএমসি পেয়েছিল ২২টি আর বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন। এবার ২০২৪ সালে তৃণমূলের ট্যালি শুরু হবে ২৩ থেকে বিজেপির ট্যালি শুরু হবে ১৭র নীচের দিকে। এটা বলা যাবে না যে দুটি পার্টির এই হিসেব কোথায় গিয়ে শেষ হবে। আমি যদি এটা পরিষ্কার ভাবে বলি তাহলে বলতে হবে, তৃণমূলের কমপক্ষে আসন হবে ২৩টি আর বিজেপির সর্বোচ্চ আসন হবে ১৭টি।'
লোকসভা নির্বাচনের এখনও একটি দফা বাকি রয়েছে। শনিবার , ১লা জুন লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফায় ভোগ গ্রহণ। শেষ পর্বে রাজ্যে ৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। অন্যদিকে ষষ্ঠ দফায় ভোট গ্রহণ হয়েছে দেবাংশু ভট্টাচার্যের কেন্দ্র তমলুকে। ভোট পর্ব মেটার পর কিছুটা স্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী।
তবে দেবাংশুর পোস্টে নিয়ে রীতিমত আলোচনা শুরু হয়েছে। অভিষেক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকেই রাজ্যে ৪২টি আসনের মধ্যে ৪২টি আসন পাওয়ার কথা বলছেন। সেখানে দেবাংশুর হিসেব অনেকটাই কম। ষষ্ঠ দফা ভোটের পরেও অভিষে বলেছিলেন ৩৩টি আসনে ভোট হয়েছে। এখনও পর্যন্ত টিএমসি ২৩টি আসনে জিতেছে। যার অর্থ তৃণমূল শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণবঙ্গে আরও বেশি আসন পাবে। সপ্তম দফায় নির্বাচনে কলকাতার দুটি আসন, যাদবপুর, ডায়মন্ডহারবার, বারাসতে রীতিমত এগিয়ে রয়েছে। তৃণমূল। তেমনই বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।