লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থাকলেই সরাসরি মমতাকে ফোন করতে পারবেন মহিলারা! পাবেন আরও সুবিধা! জানতেন?
রাজ্য সরকারের জনহিতকর প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প হলো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পের আওতায় মাসে মাসে লক্ষ্মী এসে পৌঁছায় রাজ্যের মা-বোনেদের ঘরে। কিন্তু জানেন কী এই প্রকল্প থাকলেই মিলবে দারুণ সুবিধা!
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক সুরক্ষা এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর এই প্রকল্পটি চালু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
বর্তমানে এটি বাংলার জনসাধারণের কাছে শুধু আর্থিক সাহায্যের উৎস নয়, বরং এক সামাজিক বিপ্লবের প্রতীক।
সম্প্রতি, নবান্নে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নতুন করে যুক্ত হচ্ছেন আরও পাঁচ লক্ষ মহিলা।
ডিসেম্বর মাস থেকেই নতুন উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভাতার টাকা জমা পড়া শুরু হবে।
ফলে, এখন এই প্রকল্পের আওতায় উপকৃত মহিলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২ কোটি ২১ লক্ষে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই নতুন উপভোক্তাদের সংযোজনের ফলে রাজ্য সরকারের খরচ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে প্রায় ৬২৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।
এর আগে, এই প্রকল্পে খরচ ছিল ৪৮ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা, যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকায়।
প্রতি মাসে এই প্রকল্পগুলির জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পান গ্রাহকরা। তবে এবার রাজ্য সরকার নয়া নিয়ম করেছে।
মমতা জানান, একই পরিবারের সর্বোচ্চ কতজন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন, তার উর্ধসীমা কিছু নেই। সরকারি বিধি অনুযায়ী সমস্ত শর্তাবলী মেনে কেউ যদি এই টাকা প্রাপ্তির যোগ্য হন, তাহলে পরিবারের পাঁচ, সাতজন বা যতজন মহিলা রয়েছেন, সকলেই ওই প্রকল্পের আওতায় টাকা পাবেন।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প যখন চালু হয়েছিল, তখন বয়সীমা ছিল ২৫ বছর থেকে ৬০ বছর। এই বয়সের মধ্যেই মহিলারা ওই প্রকল্পের টাকা পেতে পারতেন।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে ফোন নম্বর- লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কোনও সমস্যা হলে তার কথা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে পারবেন মহিলারা।
৯১৩৭০৯১৩৭০ নম্বরে করতে হবে ফোন। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যে ৬ টার মধ্যে ফোন করলে, এই সংক্রান্ত প্রকল্প নিয়ে যেকোনও কিছু জানা যেতে পারে।