দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) আর মাত্র বাকি কয়েকদিন। বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলে প্রস্তুতি রীতিমতো তুঙ্গে। দোকানপাটে কেনাকাটা চলছে জোরকদমে।
দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) আর মাত্র বাকি কয়েকদিন। বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলে প্রস্তুতি রীতিমতো তুঙ্গে। দোকানপাটে কেনাকাটা চলছে জোরকদমে।
আর এই উৎসবে যাত্রীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার উপর বিশেষ নজর দিচ্ছে পূর্ব রেলের (Eastern Railways) শিয়ালদহ ডিভিশন। পুজোর দিনগুলিতে দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানাল তারা। শুক্রবার, সমস্ত অফিসারদেরকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেন শিয়ালদহের ডিআরএম।
আগামী ৯ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত, সঠিক সময়ে ট্রেন চালানোর পাশপাশি লাইনের ধারে তৈরি প্যান্ডেলে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, শিয়ালদহ স্টেশনে ট্রলি চলাচলে বিধিনিষেধ সহ একাধিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, আগামী ৯ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত পুজোর দিনগুলিতে শিয়ালদহ শাখার গ্যালোপিং ট্রেনগুলি সমস্ত স্টেশনে থামবে। ঠিকঠাক সময়ে ট্রেন চলাচলের দিকে বাড়তি নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তারা।
অন্যদিকে, শিয়ালদহ শাখার বিভিন্ন জায়গায় রেল লাইনের ১০-২০ মিটারের মধ্যে অন্তত ৫০টি পুজো মণ্ডপ রয়েছে। ফলে, ঐ জায়গাগুলিতে ভিড় সামাল দেওয়া এবং যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মোতায়েন করা হবে আরপিএফ। তাদের সহযোগিতা করবে স্থানীয় থানার পুলিশ।
এছাড়াও, দর্শনার্থীদের জন্য শিয়ালদহ, দমদম এবং কলকাতা, এই তিনটি স্টেশনে থাকবে ‘MAY I HELP YOU’ বুথ। এখানে মিলবে স্থানীয় থানা, হাসপাতাল, দমকলের জরুরি নম্বর। পুজোর সময় বারসাত, খড়দহ, বালিগঞ্জ, ব্যারাকপুর, সোনারপুর, বনগাঁ, বারুইপুর এবং রানাঘাট স্টেশনের লেভেল ক্রসিং সামলানোর দায়িত্বে থাকবে আরপিএফ।
দর্শনার্থীদের সহযোগিতার জন্য থাকবে ভলান্টিয়ার্সরাও। সেইসঙ্গে, উৎসবের দিনগুলিতে শিয়ালদহ স্টেশনের ব্যস্ত সময়ে বিশেষ করে সন্ধ্যে ৬টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চলবে না কোনও ট্রলি। অন্যদিকে, প্রত্যেকটি স্টেশনে বাড়তি লাইট লাগানো হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। যাত্রীদের যাতায়াতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাই স্টেশনের রাস্তায় কোনও নির্মাণ সামগ্রী ফেলে না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিয়ালদহ স্টেশনে আরও ৫টি বাড়তি টিকিট কাউন্টার খোলা হবে বলে জানিয়েছে রেল। এইসব কাউন্টারের জন্য অস্থায়ী টিকিট বুকিং ক্লার্ক নিয়োগ করা হবে। অপরদিকে, স্টেশনগুলিতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকবে সমস্ত বুথে।
শিয়ালদহ, বিধাননগর, দমদম, নৈহাটি, বালিগঞ্জ, সোনারপুর, কলকাতা, কাঁচরাপাড়া, ব্যারাকপুর, মাঝেরহাট, কৃষ্ণনগর প্রভৃতি স্টেশনে ট্রেন সম্পর্কিত ঘোষণা এবং সময়সূচিতে বিশেষভাবে নজরদারি চালানো হবে।
পুজোর দিনগুলিতে সব স্টেশনে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকবে। যাত্রীদের ভিড় সামলাতে মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনে অতিরিক্ত সাধারণ কোচ বাড়ানো হবে। উৎসবের সময় জিআরপি-র সহযোগিতায় মহিলা, শিশু ও প্রবীণ নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। ট্রেনের জন্য আরপিএফ এসকর্ট থাকবে।
এদিকে রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, বিসর্জনের সময় চক্ররেলের চলাচল সীমিত করা হবে। সন্ধ্যে ৬টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত, সিনিয়র স্কাউটস, সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের মোতায়েন করা হবে যাত্রীদের দিক নির্দেশ করার জন্য। থাকবে সেন্ট জনস অ্যাম্বুলেন্সও।
শিয়ালদহ, দমদম, নৈহাটি, বারাসাতের মতো বড় স্টেশনে অসুস্থ যাত্রীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য থাকবেন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। অন্যান্য স্টেশনে থাকবে পর্যাপ্ত ফার্স্ট এইড বক্স।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।