পঞ্চায়েত ভোটের আগে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের জোরদার দাবি, কেন্দ্রের দরবারে সুপ্রিমো বিমল গুরুং

প্রস্তুতির আবহে বিমলের বক্তব্য, ‘যৌথ অধিনায়কত্বের মাধ্যমে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় এসেছে।’ Gorkha Janmukti morcha leader Bimal Gurung going to Central Government for separate State

Sahely Sen | Published : Nov 20, 2022 6:36 AM IST / Updated: Nov 20 2022, 04:42 PM IST

পৃথক রাজ্যের দাবিতে দেশজুড়ে গোর্খা জনজাতিকে একত্রিত করার লক্ষ্যে আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা করছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই অস্ত্রে শান দিচ্ছেন দলের প্রধান বিমল গুরুং। সেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে ২০২২ থেকেই।

প্রায় দু’‌দশক পর পার্বত্য বঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন, রাজ্যে সাধারণ ভোটারদের ছোট ছোট সমস্যাগুলিকে এই ভোটের আগে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সব পক্ষ। এই কারণেই, নির্বাচনের আগে আরও একবার আলাদা গোর্খাল্যান্ড গড়ে তোলার দাবি নিয়ে কেন্দ্র সরকারের দরবারে যেতে চাইছে পাহাড়ের সংগঠনগুলি। এর আগে তিনটি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন জানিয়ে জয়ের পথ পরিষ্কার করেছিল বিমল গুরুঙের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। কিন্তু, বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়েছিলেন বিমল গুরুং। এবার ভোটের আগে ফের একবার পৃথক রাজ্য পাবার মূল দাবি নিয়ে দিল্লি দরবারে হাজির হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন গোর্খা নেতা। কিন্তু, পাহাড়ের রাজনৈতিক আবহাওয়া বলছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তরে খুব একটা সক্রিয় নেই গুরুঙের দল।

প্রস্তুতির আবহে বিমলের বক্তব্য, ‘যৌথ অধিনায়কত্বের মাধ্যমে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় এসেছে। দাবি আদায় করে নেওয়ার জন্য একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা প্রয়োজনীয়। আসন্ন ১০ এবং ১১ ডিসেম্বর তারিখে দিল্লিতে যে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে সেটিতে আমরা এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করব।’

২০০৭ সাল থেকে পার্বত্য মানুষদের জন্য পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে আন্দোলন শুরু করেছিলেন বিমল গুরুং। ২০১৭ সালে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে ১০৪ দিন ধরে চলা ধর্মঘটে পুলিশের নির্বিচার গুলি চলে। ১৩ জন ধর্মঘটী প্রাণ হারান। এরপর পাহাড়ে এক পুলিশকর্মীর খুন হয়ে যান। সেই ঘটনার পর পাহাড় ছেড়েছিলেন গুরুং। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদল তৃণমূলকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করে আবার পাহাড়ে ফিরে এসেছিলেন গোর্খা সুপ্রিমো।

পাহাড়ের অপর একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘স্টেটহুড ডিমান্ড কোঅর্ডিনেশন কমিটি’ (এসডিসিসি) পরিকল্পনা করছে, পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যে পাওয়ার জন্য একটি পৃথক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে সমাবেশের আয়োজন করা। এই দলের মুখ্য নেতা প্রভাকর দেওয়ান বলেছেন, ‘আমরা একটি জাতীয় স্তরের কমিটি গঠন করছি এবং আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে রাজনৈতিক দলগুলি পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এখন অরাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে এক প্লাটফর্মের অধীনে এই আন্দোলনের দায়িত্ব নেওয়ার সময় এসেছে।’

আরও পড়ুন-
নিম্নচাপের প্রভাবে ১৭ থেকে একলাফে ১৯ ডিগ্রি, ডিসেম্বর শুরুর আগে খামখেয়ালি তাপমাত্রার পারদ
নিমেষের মধ্যে সব পুড়ে ছাই, শিলিগুড়ির ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে এক এক করে ধ্বংস হয়ে গেল শতাধিক ঘর
‘লাভ জিহাদের নামেই শ্রদ্ধাকে ৩৫ টুকরো করেছিল আফতাব’, গুজরাটে ভোটের প্রচারে সরব অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী

Share this article
click me!