পুজোর ছুটি শেষ, স্কুল শুরু।
পড়ুয়া এবং শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি বিষয়ের নম্বর বিভাজন নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এখনও কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা দেয়নি। আর তাই পড়ুয়ারা তাদের প্রস্তুতি নিয়ে রীতিমতো অসুবিধার মধ্যে পড়েছে। এই নিয়ে সংসদ দ্রুত নির্দেশিকা না দিলে সমস্যা মিটবে না বলেই মনে করছেন অনেকে।
একাদশ শ্রেণির প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা ছিল মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নের (এমসিকিউ) উপর। তবে দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা হবে ছোট উত্তরের প্রশ্ন (এসএকিউ) এবং বড় উত্তরের প্রশ্নের (এলএকিউ) উপর ভিত্তি করে।
বাংলার শিক্ষকরা বলছেন, গল্প, কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ, পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ এবং বাংলা শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির ইতিহাসে মোট নম্বর কত, তা সঠিকভাবেই দেওয়া আছে। কিন্তু তা থেকে কত নম্বরের এসএকিউ এবং কত নম্বরের এলএকিউ প্রশ্ন আসবে, সেই বিভাজনের কোনও আলাদা উল্লেখ নেই।
অন্যদিকে, একই অবস্থা ইংরেজির ক্ষেত্রেও। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পাঠ্য বইতে নম্বরের বিভাজন না থাকলেও বাজারে আসা কিছু সহায়ক গ্রন্থে আবার নম্বরের বিভাজন রয়েছে। কিন্তু তা কতটা ঠিক, সেই নিয়েও আবার সংশয় আছে। যেমন একটি সহায়ক বইতে লেখা আছে, কবিতা থেকে কোনও বড় প্রশ্ন আসবে না। সব নাকি ছোট প্রশ্ন আসবে। কিন্তু সেই তথ্য আদৌ ঠিক কিনা, তা নিয়ে শিক্ষকরা নিজেই নিশ্চিত নন।
এদিকে কৃত্রিম মেধার জনপ্রিয়তা ডেটা সায়েন্সের থেকে অনেকটাই বেশি। কারণ, এখন মোবাইল থেকে শুরু করে সর্বত্রই কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ হচ্ছে। তাই উচ্চশিক্ষায় অনেকেই কৃত্রিম মেধা নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। তাই এবার আর আলাদা করে দুটি বিষয় না রেখে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ডেটা সায়েন্স’ নামে একটি বিষয় থাকছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।