হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্যের হাল হাকিকত জানতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ। মাদ্রাজ আইআইটি-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে রবীন্দ্র সেতুর।
কেমন আছে ৮০ বছর বয়স্ক হাওড়া ব্রিজ? বয়সের ভারে জীর্ণ নয়, কিন্তু ক্রামাগত ব্রিজের ওপর হওয়া অত্যাচারেই নাকি ক্ষতি হচ্ছে কলকাতার সঙ্গে হাওড়া, হুগলির সংযোগ রক্ষাকারী গুরুত্বপুর্ণ এই সেতুর। তেমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এবার হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে তা জানতে প্রায় ১১ বছর পরে গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন ও রাজ্যের আইকনিক সেতুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। কলকাতা বিমান বন্দরের চেয়ারম্যান রথেন্দ্র রমন বলেছেন মাদ্রাদ আইআইটি-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগেই এই পদক্ষেপ করা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন সেতুটর রুটিন পরীক্ষার পাশাপাশি প্রস্তাবিত মহড়াও নেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, 'আমরা হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্যের ওপর গভীর নজর রাখছি। যা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে করা হয়নি। এই গবেষণাটি কীভাবে সেতুপ দীবনকাল উন্নত করা যায় সেই সম্পর্কে মূল্যবান অন্তদৃষ্টি প্রদান করবে।'
RITES, দক্ষচার সঙ্গে ১১ বছর আগে হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছিল বলে অন্য এক কর্তা জানিয়েছেন। হাওড়া ব্রিজ, রবীন্দ্র সেতু নামেও পরিচিত। হাওড়া ব্রিজের দৈর্ঘ্য ৪০৫ মিটার। প্রস্থ ২১.৬ মিটার। ১৯৪৩ সালে এটি উদ্বোধন করা হয়েছিল। সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৩৬ সালে। উদ্বোধনের পর থেকেই হাওড়ার ব্রিজ শুরু কলকাতা নয় গোটা রাজ্যেরই প্রতীক। হাওড়া ব্রিজের পর একাধিক সেতু নির্মাণ হলেও এখনও পর্যন্ত নিজের মর্যাদা অক্ষুন্ন রয়েছে ব্রিটিশ আমলের এই ব্রিজ।
হাওড়া ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষের দায়িত্ব রয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই বন্দর কর্তৃপক্ষ ৮০ বছর পুরনো কাঠামোর বিটুমিনস রাস্তার উপরিভাগে স্ক্রাপ করার কাজ শুরু করেছে। সেতুর ভার কমাতে একটি নতুন স্তর স্থাপন করা হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আইআইটি মাদ্রাজের একটি বিভাগ, বন্দর, জলপথ, উপকূলের জন্য জাতীয় প্রযুক্তি কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক গবেষণার জন্য পরামর্শ দেবে। রমন আরও বলেছেন প্রয়োজনে বন্দর কর্তৃপক্ষর উদ্যোগকে সাহায্য করার জন্য অন্য কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া হতে পারে।
হাওড়া ব্রিজের গুরুত্ব এখনও অপরিসীম। প্রতিদিন হাওড়া ব্রিজ দিয়ে ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। ৪ লক্ষ মানুষ পায়ে হেঁটে যাতায়াত করেন। এই রাজ্যের বহু মানুষের দৈনন্দিন জীবনে হাওড়া ব্রিজ একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কিন্তু দীর্ঘ ব্যবহারে জীর্ণ হাওড়া ব্রিজ। বিশেষজ্ঞরা সেতুর ক্ষয় আর ক্লান্তির সমস্য সমস্যাগুলি ঘনিষ্ঠভাবে পরীক্ষা করবে। তবে কবে থেকে এই কাজ শুরু হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে কর্তৃপক্ষের লক্ষ এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করে হাওড়া ব্রিজের আয়ু আরও বাড়িয়ে দেওয়া।
আরও পড়ুনঃ
'নবান্নে বিজেপি বিরোধী চক্রান্ত হচ্ছে', কেজরিওয়াল-নীতিশের সঙ্গে মমতার বৈঠক নিয়ে তোপ শুভেন্দুর
অভাবী মেধামী শুভ্রাংশু সর্দার, কঠোর পরিশ্রম আর ছকভাঙা কম্বিনেশই সাফল্যের চাবিকাঠি