দু'মাসের মধ্যে ৭১ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকে চাকরি দিতে হবে বলে নির্দেশ দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা।
প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে ফের বড় সিদ্ধান্ত আদালতের। কিছুদিন আগেই প্রাথমিকে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ঘিরে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যজুড়ে। এবার এই সংক্রান্ত আরও এক বড় রায় দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপধ্যায়। দু'মাসের মধ্যে ৭১ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকে চাকরি দিতে হবে বলে নির্দেশ দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। ২৬৩ দিনের লড়াইয়ের পর অবশেষে আশার আলো দেখছেন তাঁরা।
একদিকে চাকরি বাতিলের আদালতের নির্দেশে খুশি আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন আন্দোলনকারীরা। এই পরিস্থিতিতে যোগ্য প্রার্থীরা দ্রুত যাতে চাকরি পান সেই বার্তাই দিচ্ছেন তাঁরা। শুক্রবার বিকেলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, অপ্রশিক্ষিতদের চাকরি বাতিল হওয়ায় খুশি তাঁরা। টাকার জোড়ে অপ্রশিক্ষিতদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল। প্রশিক্ষিতরা যাঁরা এখনও নিয়োগ পাননি তাঁদের নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে, চাকরিহারা প্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছ প্রশাসন থেকে পর্ষদ সকলেই।
আদালতের রায় প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বললেন,'অনেকেই আমাকে ফোন করেছেন এবং দেখা করতে চাইছেন। চাকরি বাতিলের কারণে অবসাদে ভুগছেন অনেকে। আমাদের সাহায্য চাইছেন। আদালতের বিচারাধীন বিষয় আমি কিছু বলব না। তবে সরকারের কী অবস্থান তা বলব। নতুন নিয়োগ করা যাচ্ছে না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যাব। আইনত যতদূত লড়া সম্ভব আমরা করব। দয়া করে কেউ অবসাদে ভুগবেন না।' ডিএ আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন,'ডিএ নিয়ে চিৎকার করছে, তাদের জন্য ৩৬ হাজার ছেলে মেয়ের চাকরি চলে গেলে। '
কী বললেন পর্ষদ সভাপতি?
পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,'আমরা এখনও অর্ডার কপি হাতে পাইনি। আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। পর্ষদ এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে অ্যাপিল করবে।' পাশাপাশি পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল আরও জানান,' যে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে তাঁরা এখন আর প্রশিক্ষণহীন নন। ২০১৯ সালেই এঁদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। NCTE (ন্যাশানাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন)-এর নিয়ম মেনে বোর্ড এঁদের চাকরি দিয়েছে। এখন কেউ প্রশিক্ষণহীন নন।'
আদালতে রায়
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় পদক্ষেপ। ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই ৩৬ হাজার শিক্ষককে অপ্রশিক্ষিত বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে আদালতের রায় অনুযায়ী আগামী ৩ মাস এই শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন। প্যারা টিচার হিসেবে বেতন। এই তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে যাঁদের চাকরি গিয়েছে তাঁরাও ইতিমধ্যে যদি প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন তাহলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন বলেও জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন -
কোন দফতরে কেমন চলছে কাজকর্ম, খতিয়ে দেখতে নবান্নে সারপ্রাইজ ভিজিট মুখ্যমন্ত্রীর
মমতার জোট সূত্রের তীব্র সমালোচনা বিজেপির, বিরোধীদের মিশন-ভিশন কিছুই নেই