শাহজাহান শেখ হলেন, সন্দেশখালি এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। এলাকায় তিনি বাদশাহ বলেও পরিচিত। তাঁর জনপ্রিয়তা প্রবল।
শাহজাহান শেখ- তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা হিসেবেই পরিচিত। শুক্রবার তার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে রীতিমত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। যদিও শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু সন্দেশখালির বিধায়ক স্বীকার করে নিয়েছেন, এলাকার জনপ্রিয় নেতা হলেন শাহজাহান শেখ। তাঁকে গ্রেফতার করতে আসায় তাঁর অনুগামীরাই আটকে দিয়েছিল ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। যাইহোক পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন কে এই দাপুটে নেতা শাহজাহান শেখ?
শাহজাহান শেখ হলেন, সন্দেশখালি এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। এলাকায় তিনি বাদশাহ বলেও পরিচিত। তাঁর জনপ্রিয়তা প্রবল। সীমান্তবর্তী এলাকায় শাহজাহান শেখের দাপট প্রবল। একটা সময় এই এলাকা দাপিয়ে বেড়াত মজিদ মাস্টার ও বাবু মাস্টর। শাহজানকে তাদেরই উত্তরসুরী বলা যেতে পারে। স্থানীয়দের কথা তিনি বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন। অনুপ্রবেশকারী বলা যেতে পারে। বাম জমানা থেকেই তাঁর উত্থান। সেই সময় তিনি বিধায়ক অনন্ত রায়ের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। এখন তিনি বিধায়াক সুকুমার মাহাতোর ঘনিষ্ট। এই এলাকার সাংসদ নুসরত জাহান। তাঁকে জেতাতেও সেনাপতির ভূমিকা পালন করেছিলেন শাহজাহান শেখ।
যাইহোক তাঁর বিরুদ্ধে গরু পাটারের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে কাঠ পাচারের অভিযোগও। সীমান্ত এলাকায় তাঁর রাজ চলে বলে দাবি স্থানীয়দের।২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর পরিস্থিতি বদলে যায় সীমান্ত এলাকায়। তারপরই ২০১৬ সালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। বাম আমালে দলগত কোনও পদ পাননি শাহজাহান। কিন্তু তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই সাংগঠনিক পদ পান তিনি। পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থা হন তৃণমূলের। জেলা পরিষদে জিতে কর্মাধক্ষ্য হন।
রেশন দুর্নীতিতে নাম জড়়িয়েছে শাহজাহানের। সেই কারণে তল্লাশি অভিযান ছিল ইডির। তবে এলাকায় গরীবের মাসীহা। প্রচুর দানধ্যান করেন। স্থানীয় মানুষ সমস্যায় পড়তেই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হননি। সেই কারণে তাঁর অনুগামীর সংখ্যাও প্রচুর। জনপ্রিয়তাও প্রবল।