দক্ষিণবঙ্গের দুই জেলায় জারি রেড অ্যালার্ট! রাজ্য জুড়ে দিনভর ঝড়বৃষ্টি ও দুর্যোগের আশঙ্কা
kolkata Weather শনিবার শহরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি গভীর নিম্নচাপ বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হয়েছে। সেই কারণেই বাড়ছে বৃষ্টি।
deblina dey | Published : Sep 14, 2024 5:16 AM IST / Updated: Sep 14 2024, 02:44 PM IST
শুক্রবার রাত থেকে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে কলকাতা ও এর আশেপাশের শহরতলিতে। বৃষ্টির গতি কখনো বা কমছে। শনিবার শহরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি গভীর নিম্নচাপ বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হয়েছে। সেই কারণেই বাড়ছে বৃষ্টি।
ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও। নিম্নচাপের প্রভাবে এ বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার দক্ষিণের দুই জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
দুর্গাপুজোর আগে বাংলায় বন্যা পরিস্থিতি হতে পারে? এমন বিপদ দেখছেন আবহাওয়াবিদরা। গভীর নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে আতঙ্ক বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাংলাদেশের উপকূলের নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। গত ছয় ঘণ্টায় এর গতি ছিল ঘণ্টায় ২৩ কিমি।
সপ্তাহান্তে বৃষ্টি হবে বলে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে। শনিবার ও রবিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। এমনকি রেড অ্যালার্টও জারি করা হয়েছে।
বর্তমানে এই নিন্মচাপ বাংলাদেশ এবং তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় বাংলার উপর অবস্থিত। এই চাপটি ক্যানিংয়ের ৯০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং কলকাতার ১০০ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তর-পূর্বে অবস্থিত।
এর জেরে রবিবার পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এই দুই জেলায় একদিনে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপ হিসেবে ধীরে ধীরে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। এর পরে এটি ক্ষমতা হারিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে যাবে। নদী, খাল ও উপকূল উপচে পড়ায় বিভিন্ন এলাকায় দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, নিন্মচাপটি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যাবে। নিম্নচাপের প্রভাবে ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও রয়েছে। এরমধ্যে ডিভিসির জল ছাড়লে বিপদ আরও বাড়তে পারে।
অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর। এই গভীর নিম্নচাপ কলকাতা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
জায়গাটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিং থেকে ৯০ কিমি দূরে। এটি আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপ হিসেবে ধীরে ধীরে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। তারপর শক্তি হারিয়ে ঝাড়খণ্ডে চলে যাবে।
কাকদ্বীপ মহকুমার নামখানা, সাগর, পাথরপ্রতিমায় ঝড়ের জেরে ভেঙে পড়েছে বহু মাটির ঘর, গাছ ও জলের ড্রেন। নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নামখানা এলাকার অনেক বাড়িতে জল ঢুকেছে।
আবহাওয়া দফতরের মতে, শনিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে গঙ্গার জলস্তর ৫ মিটার অর্থাৎ ১৬.৪১ ফুট বাড়বে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গঙ্গার কাছে লক গেট বন্ধ থাকবে। ওই সময় ভারী বর্ষণ হলে কলকাতা-সহ জেলাগুলিতে জলমগ্ন অবস্থার আশঙ্কা করা হচ্ছে।