এবছর মেধাতালিকায় ১ থেকে ১০-এর মধ্যে রয়েছেন মোট ১১৮ জন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে রয়েছেন মোট ১১ জন। মেধাতালিকায় নাম নেই কলকাতার।
অবশেষে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার রেজাল্ট হাতে পেল পড়ুয়ারা। এবারেও পাশের হারে রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিকে টেক্কা দিচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর। গত কয়েকবছর ধরেই পাশের হারের নিরিখে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে পূর্ব মেদিনীপুর। এবছরও প্রথম স্থানেই রইল পূর্ব মেদিনীপুর। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মাধ্যমিকের পাশের হার ৯৬.৮৬ শতাংশ। পাশের হারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তরবঙ্গের কালিম্পঙ। তৃতীয় স্থানে কলকাতা। এবছর মেধাতালিকায় ১ থেকে ১০-এর মধ্যে রয়েছেন মোট ১১৮ জন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে রয়েছেন মোট ১১ জন। মেধাতালিকায় নাম নেই কলকাতার। অন্যদিকে মাধ্যমিকে প্রথম স্থান দখল করে বর্ধমানের নাম উজ্জ্বল করল কাটোয়ার দেবদত্তা মাজি।
৭৬ দিনের মাথায় ফল প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের। এবছর মাধ্যমিকে প্রথম হলেন, কাটোয়া দুর্গারানি গার্স হাইস্কুলের দেবদত্তা মাঝি। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৭। দ্বিতীয় হয়েছেন বর্ধমান মিউনিসিপাল হাইস্কুলের শুভম পাল। ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল মোট ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে পাশ করেছে ৫,৬৫,৪২৮ জন। আজ দুপুর ১২টা থেকে পর্ষদের ওয়েবসাইটে রেজাল্ট দেখতে পারবেন পরীক্ষার্থী। পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী এবছর অনুর্তীর্ণ প্রায় ১ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী।
মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় শীর্ষে বর্ধমান
মাধ্যমিকে প্রথম হলেন কাটোয়ার মেয়ে দেবদত্তা মাজি। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় ৬৯৭ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থানাধিকারী কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানী হাই স্কুলের ছাত্রী। জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রথম বড় সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দেবদত্তার পরিবার। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় দেবদত্তা। অঙ্ক এবং পদার্থবিদ্যার প্রতি বিশেষ ঝোঁক কৃতি ছাত্রীর। মায়ের কাছেই পদার্থবিদ্যা পড়তেন বলে জানিয়েছেন দেবদত্তা। সারাদিনে কতক্ষণ পড়াশোনা করতেন? প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান দিনে ১০-১১ ঘন্টার বেশি পড়াশোনা করতেন না। পড়াশোনাই তিনি সবচেয়ে ভালোবাসেন বলেও জানিয়েছেন। নিজের এই সাফল্যের জন্য স্কুল শিক্ষকদের পাশাপাশি ধন্যবাদ জানালেন গৃহ শিক্ষক এবং পাথফাইন্ডার ইনস্টিটিউটকেও।
আরও পড়ুন -
আশাভঙ্গ কলকাতার, এই প্রথম মাধ্যমিকের মেধাতালিকার প্রথম দশের বাইরে তিলোত্তমার পড়ুয়ারা
প্রকাশিত মাধ্যমিক ২০২৩-এর ফলাফল, পাশ করলেন ৫ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী
মায়ের কাছেই ফিজিক্স শেখা, ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী দেবদত্তা