বকেয়া টাকা মিললেও হাতে আসতে বহু সময় কেটে গিয়েছে বলে আগে একাধিকবার অভিযোগ উঠে এসেছে শিক্ষক- শিক্ষিকাদের তরফে। এমনকি নিজেদের প্রাপ্য টাকা পেতে বিকাশ ভবন বা শিক্ষা আধিকারিকদের কাছেও ধর্না দিতে হয়েছে তাদের। এবার থেকে সেই জমানার ইতি।
সম্প্রতি বেতনের পোর্টালে নয়া সংযোজন এনেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। এ বার থেকে অনলাইন মাধ্যমে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের বকেয়া টাকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। যার দরুন আরও জলদি পকেটে আসবে বকেয়া। উল্লেখ্য, বকেয়া ডিএ নিয়ে গত দেড় বছর ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একাংশ। এরই মাঝে এবার শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীরাদের বকেয়া টাকা নিয়ে বড় সুখবর দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এখন থেকে আরও জলদি বকেয়া টাকা আসবে পকেটে। কিন্তু কীভাবে? জানতে হলে ঝটপট পড়ে ফেলুন গোটা প্রতিবেদনটি।
অফলাইন নয়, এবার থেকে অনলাইন মিলবে শিক্ষকদের বকেয়া। জানিয়ে রাখি, বকেয়া টাকা মিললেও হাতে আসতে বহু সময় কেটে গিয়েছে বলে আগে একাধিকবার অভিযোগ উঠে এসেছে শিক্ষক- শিক্ষিকাদের তরফে। এমনকি নিজেদের প্রাপ্য টাকা পেতে বিকাশ ভবন বা শিক্ষা আধিকারিকদের কাছেও ধর্না দিতে হয়েছে তাদের। এবার থেকে সেই জমানার ইতি।
লোকসভা ভোটের আগে বাজেট চলাকালীন আরও ৪ শতাংশ মহার্ঘভাতা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই টাকা মে মাস থেকে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল প্রথমে। পরে অবশ্য নির্বাচনী জনসভা থেকে মমতা ঘোষণা করেন মে নয়, এপ্রিল মাস থেকেই এই টাকা রাজ্য সরকারি কর্মীরা পেয়ে যাবে। এরই মাঝে এবার শিক্ষকদের বকেয়া টাকা পাওয়ার পদ্ধতিতে বড় বদল এল।
এতদিন পর্যন্ত শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীরাদের বকেয়া টাকা হাতে পেতে অনেকটাই সময় চলে যেত। তাই সেই সমস্যার সমাধানে বিশেষ উদ্যোগী শিক্ষা দফতর। এ বার থেকে বকেয়া টাকা মিলবে অনলাইনেই। শিক্ষক- শিক্ষিকাদের বকেয়া টাকার হিসাব রাখতে হবে স্কুলগুলিকেই। অনলাইনে তথ্য আপলোড করতে হবে। ইতিমধ্যেই সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের এই মর্মে বার্তা পাঠিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ ইস্যুতে প্রায় দেড় বছর ধরে ধর্না চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। এরই মধ্যে বেশ কিছুবার ডিএ বৃদ্ধি করেছেন মমতা। তবে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে অনড় সরকারি কর্মীরা। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সরকারি কর্মীদের জন্য চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করে রাজ্য যা চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই কর্মীরা পান।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।