২০২২ ও ২৩ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা হয়েছিল। নিয়ম মেনে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
চাকরি প্রার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ। বাতিল হয়ে গেল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টিটর এলিজেবিলিটি টেস্ট বা টেট (TET) পরীক্ষা। সোমবার জানিয়ে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরপর দুই বছর প্রাথমিকে টেট পরীক্ষ হয়েছিল। কিন্তু এবর বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইনি জটিলতা ও আগের পাশ করে থাকা চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ না হওয়ার কারণেই বাতিল করা হয়েছে চলতি বছর টেট পরীক্ষা।
২০২২ ও ২৩ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা হয়েছিল। নিয়ম মেনে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবার তা হচ্ছে না। পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ক্ষমতায় আসার পর তাঁর মূল উদ্দেশ্যেই ছিল প্রত্যেক বছর চাকরির পরীক্ষা নেওয়া। পরপর দুই বছর পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু যারা উত্তীর্ণ হয়েছে বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে তাদের এখনও পর্যন্ত নিয়েগ করা হয়নি। তই এই বছর টেট হবে না। পরীক্ষা রও ৬ মাস পরে হতে পরে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে ২০২২ সালে প্রাইমারি টেট হয়েছিল। পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ। উত্তীর্ণ হয়েছিল প্রায় দেড় লক্ষ। পরের বছর ২৪ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা হয়েছিল। পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিল ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন। পরীক্ষা দিয়েছিল ২ লক্ষ ৭২ হাজার। তবে বছর শেষ হতে চলল এখন ২০২৩ সলের টেট পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। কবে ফল প্রকাশ করা হবে তাও স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ১৪ বছর বাদে আপার প্রাইমারিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।