
Suvendu Adhikari at Belgachia: ধসে বিধ্বস্ত হাওড়়ার বেলগাছিয়া গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এমনটই অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ আমাকে রক্তাক্ত করেছে। এই রক্ত গুছিয়ে রাখলাম।' বেলগাছিয়ায় ভাগাড়ে ধস নেমে ফেটে গিয়েছিলেন জল সরবরাহের পাইপ। সেই পাইপ লাইনের মেরামতির কাজের সময়ও ধস আরও ভয়ঙ্কর আকার নেয়। একদিন টানা কয়েক দিন জল সরবরাহ বন্ধ ছিল। অন্যদিকে ধসের কারেই উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। এই পরিস্থিতি এদিন ঘটনাস্থলে প্রথমে যান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তারপরই যান শুভেন্দু অধিকারী।
মঙ্গলবার সকালেই বেলগাছিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যান পুরমন্ত্রী ফরহাদ হাকিম। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। আগামী তিন দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তারপর দুপুরবেলায় যান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের দাবি এলাকায় ঢুকতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। তাঁদের শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়। তিনি হাতে আঁচড়ের দাগ দেখিয়ে বলেন, 'পুলিশ আমাকে ধাক্কা দিয়েছে। আমাকে রক্তাক্ত করেছে। এই রক্ত গুছিয়ে রাখলাম।' বেলগাছিয়া ভাগাড়ের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, '২০০ শতাংশ কজের নমুনা দেখুন। গরিবের কী অবস্থা! খাবার নেই , মিথেন গ্যাস বেরচ্ছে। আরও বড় ঘটনা ঘটবে যদি রাজ্য সরকার উন্নাসিকতা করে।'
গত ১৯ মার্চ থেকেই বেলগাছিয়ে ভাগাড়ে ধস নামে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তা ভয়ঙ্কর আকার নেয়। তাতেই ফেটে যায় শিবপুর - উত্তর হাওড়ার কেন্দ্রের জল সরবরাহের পাইপলাইন। চরম সমস্যায় পড়তে হয় স্থানীয়ের। বিস্তীর্ণ এলাকায় জল সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। নির্জলা হাওড়ার পাশে দাঁড়িয়ে কলকাতা ও উত্তরপাড়া পুরসভায় জলের ট্যাঙ্কার পাঠায়। এরই মধ্যে ভাগাড়ে প্রায় দেড় বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিপত্তি বাধে। রাস্তা আর বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। মাটি থেকে বেরিয়ে আসে মিথেন গ্যাস। বিশেষজ্ঞদের কথায় ভাগাড়ের কারণে মাটির রস শোষণ করার ক্ষমতা আর নেই। মাটির তলার অংশ ফুলেফেঁপে রয়েছে। আর সেই কারণে সেখানে তৈরি হচ্ছে মিথেন গ্যাস। পাশেই গঙ্গা থাকায় নদীর জল এসে মিসছে। বড় বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।