রাজ্য সরকার তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে রাজ্যের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কিনতে টাকা দেয়। টাকার পরিমাণ ১০ হাজার।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকেই ট্যাব কেনার টাকা পাননি। কিন্তু সেই টাকা কী হল? কোথায় গেল? এই রহস্যের জট ছাড়ানোর আগেই বঞ্চিত ৮৫ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার জন্য টাকা দিচ্ছে সরকার। সিইআই-তে শিক্ষা সামিটে যোগ দিতে দিয়ে এই কথা জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা সচিব বিনোদ কুমার। তিনি বলেন, 'বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এরক ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। আগামী সোমবারের মধ্যে প্রত্যেক পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে। ইতিমধ্যেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।' তিনি আরও জানিয়েছেন, যারা এই ঘটনায় যুক্ত তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তিনি আরও বলেছেন, সিস্টেমের যদি কোনও সমস্যা রয়েছে জানা যায় তাহলে সিস্টেম পরিবর্তন করা হবে।
রাজ্য সরকার তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে রাজ্যের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কিনতে টাকা দেয়। টাকার পরিমাণ ১০ হাজার। এবার নবান্নের ঘোষণা অনুযায়ী ১৬ লক্ষ পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিপুরের ছাত্র-ছাত্রীদের সরকারি ট্যাব কেনার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে সাইবার প্রতারকদের বিরুদ্ধে। সরকারি শিক্ষা পোর্টাল হ্যাক করেই দুষ্কৃতী সরকারি টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি শিক্ষা পোর্টাল হ্যাক করে পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর সরিয়ে দিয়ে সেখনে অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে দিয়েছিল। তাতেই টাকা পায়নি প্রায় ৭০ জন পড়ুয়া। পরবর্তীকালে আরও কয়েকজন পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্ট হ্যাক করার অভিযোগ উঠেছিল। তাতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। শিক্ষা সচিব জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলার পরিদর্শকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। পাশাপাশি, ভুল তথ্য দেওয়া, অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে যাওয়া, এই সমস্ত কারণবশত যাদের টাকা এখনও পৌঁছয়নি তাদেরও তথ্য সংগ্রহ করেছে সরকার।
টাকা দেওয়ার পাশাপাশি গোটা বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তেমনও জানিয়েছেন শিক্ষা সচিব। সেই রিপোর্টেই ৮৫ জনের টাকা অন্যের অ্যাকউন্টে ঢুকেছে বলেও জানান হয়েছে। আর সেই কারণে ৮৫ জনকে ট্যাব কিনতে আবার টাকা দেওয়া হচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।