সবুজ পতাকা নেড়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেমি হাইস্পিড ট্রেনে ট্রেনে চড়ে রীতিমত উত্তেজিত কয়েকজন পড়ুয়া।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস- যা ভারতবাসীর গর্ব। আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের জন্য প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে কলকাতার একটি নামি স্কুলের দুই পড়ুয়া উপস্থিত হয়েছিল হাওড়া স্টেশনে। ট্রেনের ভিরত দেখে এক ছাত্রীর প্রতিক্রিয়া- 'এটা একটা প্লেনের মত!'স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে ট্রেনের ভিরত দিয়ে হাঁটছিল। ঝাঁ চকচকে কামরা দেখে হাঁটার সঙ্গে এই কথা বলেছিল ছাত্রী। হাওড়া স্টেশন থেকে নিউজলপাইগুড়ি পর্যন্ত যেতে ট্রেনটি সময় নেবে মাত্র সাড় ৭ ঘণ্টা। আগের তুলনায় প্রায় তিন ঘণ্টা কম।
কমান্ড হাসপাতাল কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী বৈষ্ণবী মানে ও অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী তনুশ্রী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্রথম যাত্রার সঙ্গী হতে পারে দৃশ্যতই দারুখ খুশি। ট্রেনটিতে একটি অ্যারোডাইনামিক্যালি ডিজাইন করা ইঞ্জিন রয়েছে যার নাকটি জেট-লাইনারের নাকের সাথে আলগাভাবে তুলনা করে। স্প্যাঙ্কিং নতুন চেয়ার কারগুলি একটি এয়ারলাইন অভ্যন্তরের চেহারা দেয়। অন্যদিকে ফোর্ট ইউলিয়মের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র সোহম মুখোপাধ্যায় ট্রেনে চড়ে দারুণ উত্তেজিত বলেও জানিয়েছেন। সে বলেছে, এই ট্রেনটি চড়তে দারুণ লাগছে।
হাওড়া -নিউজলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস প্রথম চালাচ্ছেন অনিল কুমার। যিনি গত ৩২ বছর ধরেই ট্রেনের চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজধানী ও শতাব্দী এক্সপ্রেস চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তাঁর সহকারী লোকো পাইলট কমলেশ কুমারের ট্রেন চালানোর অভিজ্ঞতা ৬ বছরের। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর জন্য পাঁচ সেট ক্রু অর্থাৎ ১০ জনকে গাজিয়াবাদে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে যথেষ্ট উত্তেজিত জলপাইগুড়ির সাংসদ তথা বিজেপি নেতা জয়ন্ত রায়। তিনি সংবাদ মাধ্যম পিটিআইকে জানিয়েছেন সেমি হাইস্পিড এই ট্রেন বাংলায় যোগাযোগের নতুন ইতিহাস তৈরি করবে। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। পর্যটন বাড়াতে সাহায্য করবে। এনজেপি স্টেশনটিকে একটি বিশ্বমানের হিসাবে গড়ে তোলার ফলে উত্তরবঙ্গের সংযোগ আরও শক্তিশালী হবে, যা হিমালয়, বন এবং চা বাগানের গর্ব করে।
এটি দেশের সপ্তম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ৫৬৪ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে মাত্র ৭ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে। নীল-সাদা ট্রেনটি রুটের অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় তিন ঘণ্টার ভ্রমণের সময় বাঁচাবে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বারসোই, মালদা এবং বোলপুরে এর তিনটি স্টপেজ থাকবে। আধুনিক যাত্রী সুবিধা সহ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সম্ভবত নিয়মিত যাত্রী, চা শিল্পের আধিকারিক এবং উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের হিমালয়ে ভ্রমণকারী পর্যটকদের দ্বারা পছন্দ হবে। অত্যাধুনিক ট্রেনটিতে চালকের জন্য দুটি সহ ১৬টি কোচ রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
হীরাবেনের শেষকৃত্য় গান্ধীনগরে, শেষযাত্রায় সামিল শোকস্তব্ধ প্রধানমন্ত্রী মোদী
'হীরাবা পরিবারের জন্য সংগ্রাম করেছেন'- বললেন অমিত শাহ, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতির