সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হতে পারে। উপাচার্য নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য।
আবারও প্রকাশ্য রাজ্য ও রাজভবন সংঘাত। এবার বিষয় উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে। রাজ্য সরকার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। সোমবার হতে পারে শুনানি। রাজ্য সরকারের অভিযোগ রাজ্যপাল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে যে নিয়ম মানছেন তা বৈধ নয়। কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলায় রীতিমত ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হতে পারে। যদিও হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু উপাচার্য পদের কোনও প্যানেল না পাঠিয়ে রাজ্যপালকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২৭ জনের নামের একটি তালিকা পাঠিয়েছিলেন। ফলে আলোচনার পরিবেশ তৈরি হয়নি। তাই নিজের মত করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যদিও কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের বেতন ও ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। হাইকোর্টের এই রায়ের পর আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল।
তবে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল ধনখড় থাকাকালীন রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে। সেই একই অবস্থা তৈরি হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সময়ও। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একাধিকার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন রাজ্যপাল ইচ্ছেমত কাজ করেছে। যা করা যায় না। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রমৃত্যু নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সেই উপাচার্য। অনেকেরই বক্তব্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী বা স্থায়ী উপাচার্যের পদ ফাঁকা রয়েছে। সেই কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ, নেতাজি সুভাষ, কলকাতা, কল্যাণী, বর্ধমান-সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্য সরকার তাগের বেতন বন্ধ করে দেয়। রাজ্যের যুক্তি ছিল বিশ্ববিদ্যায়লে উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপাল একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যা আচার্য হিসেবে নিতে পারেন না সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ইউজিসির নিয়ম মেনে তা করা হয়নি। তারপরই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু গত ২৮ জুন কলকাতা হাইকোর্ট মামলা খারিজ করে দিয়ে রাজ্যপালের সিদ্ধান্তেই সিলমহর দেয়। তারপরই রাজ্য সরকার এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল।
আরও পড়ুনঃ
বুধবার সন্ধ্যে ৬টা ০৪ মিনিট- চাঁদের মাটিতে অবতরণ চন্দ্রযান -৩ এর, লাইভ স্ট্রিমিংএর কথা জানাল ইসরো
ওয়ার্কিং কমিটিতে শচীন পাইলট, শশী থারুর সঙ্গে জায়গা পেলেন দীপা দাশমুন্সী- ৫০এর নিচে তিন মুখ
ত্রীকে ৮ মাস পরে বাড়িতে এনে কুপিয়ে খুন, থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ পিজি-র ডাক্তারের