কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনেকটাই কম। বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গের জন্যও।
নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেছে। তবে আজও কলকাতায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। আলিপুর হাওয়া অফিসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী হতকাল অর্থাৎ ২২ মার্চ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ ডিগ্রি কম। তবে এদিন অর্থাৎ ২৩ মার্চ ভোরবেলা সর্বনিম্ন তাপমাত্রার যে রেকর্ড করা হয়েছে তা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ ডিগ্রি কম। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাাত্রা ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবারের পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে বলেও আশা করছে হাওয়া অফিস।
তবে বৃহস্পতিবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝা নতুন করে আসতে পারে। কারণ হরিয়ানার ওপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। যা অবস্থান করছে বাংলাদেশ পর্যন্ত এলাকা জুড়ে। বিহার ঝড়খণ্ড ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে গিয়েছে সেই অক্ষরেখা। এই অক্ষরেখার প্রভাবে অসম মেঘালয়া ও অরুণাচলপ্রদেশেরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২১ ডিগ্রির আপেপাশে। কলকাতা ও আশপাশে হালকা ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকেও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তার জেরে তাপমাত্রার পারদও কিছুটা নিম্নগামী। উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জলপাইগুড়ির সর্বনিম্নতাপমাত্র ১৭.১ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১ ডিগ্রি কম। জলপাইগুড়ি ও পাশাপাশি তিন জেলায় আগামী দিন তিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের তুলনায় কম ছিল। দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তলাই ও ডুয়ার্স এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রের খবর ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপ অক্ষরেখার অবস্থান করছে। তারই জেরে প্চুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তারই জেরে চৈত্রমাসে বর্ষাকালের মতই আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। তবে মাঝে মাঝে বেশ কিছু এলাকায় ঝড় হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
Fuel Price: আজ কলকাতায় কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল আর ডিজেল? দাম জানুন দেশের বাকি তিন শহরের
পরিবারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী আফসানা, লাখপতি এই মহিলা ত্রাতা অনেক মহিলার
মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিতে ফাঁসিকাঠে ঝোলানো কি জরুরি? কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট