২০২১ সালের নির্বাচনের আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। অনেকেই মনে করেন বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের অন্যতম কারণ হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটি রীতিমত বিতর্কের। এটি সরকারের কাছে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিরোধীদের কাছে গলার কাঁটা। এই প্রকল্পে ঠিক কত টাকা খরচ হয় , রাজ্য সরকার কোথা থেকে এই টাকা নিয়ে আসে তা নিয়ে একাধিকবার বিধানসভার অন্দর যেমন উত্তপ্ত হয়েছে তেমনই উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। সেই বিতর্কের অবসান করতে রাজ্যে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা শুক্রবার বিধানসভায় জানিয়েছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য এখনও পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। রাজ্যের স্কুল ছুটের হার মাধ্যমিক স্তরে ১৬ . ২৩ শতাংশ কমে হয়েছে ১.৭৪ শতাংশ। উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ১৫.৪ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৭.০৮ শতাংশ।
২০২১ সালের নির্বাচনের আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। বিরোধীদের অনেকেই মনে করেন ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের অন্যতম কারণ হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার মহিলাকে আর্থিক সহযোগিতা করে। এই প্রকল্পের জন্য ২২ হাজার কোটি টাকা খবর হয়এছে। এদিন একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের আরও একটি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প রূপশ্রীর খতিয়ানও তুলে ধরেন রাজ্যের মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে শুরু হয়েছে রূপশ্রী প্রকল্প। এই প্রকল্পের জন্য খরচ হয়েছে ৪ হাজার ১২৬ কোটি টাকা। শশী পাঁজা আরও জানিয়েছেন স্কুলছুট মহিলাদের স্কুলে ফেরাতে রাজ্য সরকার কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছিল ২০১৩ সালে। চলতি অর্থবর্ষে এই প্রকল্পে খরচ হয়েছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা। লাভবান হয়েছে রাজ্যের ৮১ লক্ষ ১৮ হাজারেরও বেশি ছাত্রী। কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য ১৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
G-20 সামিটে অনুপস্থিত পুতিন, গ্রেফতারি এড়াতেই এই পদক্ষেপ রুশ প্রেসিডেন্টের
বিধানসভায় রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ২২ হাজার ৪৯ কোটি টাকা রাজ্যের মহিলাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২৫-৬০ বছর বয়সী মহিলাদের মাসে ৫০০ ও তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের সুবিধেভোগীর স্খ্যা ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩১ জন। রাজ্যের সবছেকে বড় ও ব্যায়বহুল প্রকল্প এটি। এই প্রকল্পের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য ১ কোটি টাকা সাহায্যের প্রস্তাবও করা হয়েছে।
ভোট বাড়াতে শচীনের ওপর আস্থা নির্বাচনে কমিশনের, জাতীয় আইকন প্রাক্তন ক্রিকেটার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক জনসভায় ও ভোট প্রচারে এই জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারকে যে বিদেশ থেকে সম্মানিত করা হয়েছিল সে কথাও বলেন তিনি। কিন্তু বিরেধী শিবির এই প্রকল্পগুলি নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করে। তাদের কথা এই প্রকল্পের বরাদ্দ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা থেকে নেওয়া হয়। যদিও এদিন এই বিষয়ে শশী পাঁজা কোনও মন্তব্য করেননি।