সোমবার ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জ একটি বিবৃতি জারি করে টাটাদের তরফে এই বার্তা দিয়েছে। বলেছে, ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিন সদস্যের অরবিট্রাল ট্রাইবুনালে সিঙ্গুরে অটোমোবাইল কারখানা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে।
রাজ্যে আবারও প্রাসঙ্গিক সিঙ্গুর আর টাটা মোটরস। সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা বন্ধ করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অর্থাৎ নবান্নকে দিকতে হবে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা। নির্দেশ দিয়েছে তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইবুনাল। জানিয়েছে টাটা মোটরস। ২০১৬ সাল থেকে ১১ শতাংশ সুদ হিসেবে প্রায় ৭৬৬ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে কোম্পানির পক্ষেই সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্য সরকার চাইলে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই পারে। সেই আইনি পথও খোলা রয়েছে।
সোমবার ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জ একটি বিবৃতি জারি করে টাটাদের তরফে এই বার্তা দিয়েছে। বলেছে, ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিন সদস্যের অরবিট্রাল ট্রাইবুনালে সিঙ্গুরে অটোমোবাইল কারখানা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। সর্বসম্মতভাবে টাটা মোটরস এর পক্ষেই ফলাফল গিয়েছে। টাটা মোটরসকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০১৬ সালে ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো ক্ষতিপুরণ পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ১১ শতাংশ হাতে সুদ দিতে হবে। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও কিছু জানায়নি নবান্ন।
এই সিঙ্গুর আন্দোনলনকেই হতিয়ার করে এ এই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল সিঙ্গুরে অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দেওয়া হবে। যদিও তার আগেই মমতার নেতৃত্বে লাগাতার সিঙ্গুর আন্দোলনের ফলে টাটারা ন্যানো প্রকল্প তুলে নেয়। চলে যায় গুজরাটের সানন্দে। যাইহোক ২০০৬ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ভোটে জিতে ক্ষমতা দখলের পরই সিঙ্গুরে ন্যানো প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিলেন। বাম সরকার জমি অধিগ্রহণ করেছিল টাটাদের গাড়ি কারখানার জন্য। সেই জমি ফিরিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।
ট্রাইবুনালের নির্দেশে স্বস্তিতে এই রাজ্যের বামফ্রন্ট। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন, রাজ্যের বেকারদের স্বপ্নভাঙার পেনাল্টি দিতে হচ্ছে মমতা সরকারকে। তিনি আরও বলেছেন,ক্ষতিপুরণ হিসেবে ১১ শতাংশ সুদ দিতে হবে। যার অর্থ রাজ্যকে ১৬০০ কোটি টাকাও বেশি দিতে হবে। তিনি বলেন এই পরিস্থিতির জন্য তৃণমূল কংগ্রেসই দায়ী।