রাজ্য সরকারি প্রকল্পগুলিকে সাহায্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পূর্ণ করতে অর্থ দিতে পারে বিশ্ব ব্যাঙ্ক

কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্পগুলি ইতিমধ্যেই বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্মানও পেয়েছে এই প্রকল্প। আর এবার রাজ্যের মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য তৈরি করা প্রকল্পটিতে আর্থিক সাহায্য করতে চায় বিশ্ব ব্যাঙ্ক।

Asianet News Bangla | Published : Aug 30, 2021 11:49 AM IST / Updated: Aug 30 2021, 05:44 PM IST

দুয়ারে সরকারের মাধ্যমেই আবেদন করা যাচ্ছে রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের। এবার স্বাস্থ্য সাথীর পাশাপাশি সবথেকে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটি। ইতিমধ্যেই বহু আবেদন জমা পড়েছে। আর সাধারণ মানুষের মধ্যে এই প্রকল্প নিয়ে এতটা উৎসাহ দেখে, এই প্রকল্পের জন্য আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই টাকা কোথা থেকে আসবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন সরকারি আধিকারিকরা। এবার সেই চিন্তা দূর করতে এগিয়ে আসছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারকে সাহায্য করতে চায় তারা। 

কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্পগুলি ইতিমধ্যেই বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্মানও পেয়েছে এই প্রকল্প। আর এবার রাজ্যের মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য তৈরি করা প্রকল্পটিতে আর্থিক সাহায্য করতে চায় বিশ্ব ব্যাঙ্ক। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলাদের সামাজিক সুরক্ষার জন্য ‘উইমেনস এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড ইনক্লুসিভ সোশ্যাল প্রোটেকশন প্রোগ্রাম’-এ প্রায় ১২৫ কোটি মার্কিন ডলার মিলতে পারে। ভারতীয় টাকায় যার পরিমাণ ৯৯৯ কোটি। 

জনমুখী প্রকল্পে উপভোক্তদের হাতে সহায়তা ঠিক মতো পৌঁছচ্ছে কি না, তা 'ইনডিপেনডেন্ট ভ্যালুয়েশন এজেন্সি'-কে দিয়ে যাচাই করেও দেখা হবে। আর সেই কারণে প্রকল্পের রূপায়ণে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে সেই শর্তকে সবথেকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে রাজ্য। অর্থদফতরের তরফে বলা হয়েছে, "রাজ্যের নানা জনমুখী প্রকল্পের সফল রূপায়ণে সাড়া দিয়ে সমাজের দুর্বলতর অংশের স্বশক্তিকরণের কাজে রাজ্যকে ১২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিতে চায় বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এই অঙ্ক বাড়তেও পারে। এতে বিধবা বা তফিসিলি জাতি-উপজাতিভুক্ত মানুষদের সামাজিক সহায়তায় অগ্রাধিকার দেওয়া যাবে।"

আরও পড়ুন- পুজোর বাকি দেড় মাস, প্রতিমা ঠিক সময়ে প্যান্ডেলে পাঠানোর চ্যালেঞ্জে প্রতিপক্ষ বৃষ্টি

আরও পড়ুন- নামী চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হলেও কলমের জোরে বিখ্যাত হয়েছিলেন, বুদ্ধদেব গুহর সেরা ১০ উপন্যাস

অর্থ দফতরের তরফে আরও বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশের গড় বৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে গিয়েছে রাজ্যের বৃদ্ধি। ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ সালে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ছিল ৭.২ ও ৬.৮ শতাংশ। আর এই দুই অর্থবর্ষে সেখানে রাজ্যের বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৯ ও ১২.৬ শতাংশ। রাজ্যে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে প্রায় ২.৬ শতাংশ হারে। এই হার বজায় থাকলে ২০৪১ সালে রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ হবে বয়স্ক নাগরিক। তবে কতগুলি ক্ষেত্রে শীঘ্রই গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের শ্রমশক্তিতে মহিলাদের অনুপাত জাতীয় হারের চেয়ে অনেকটাই কম। পশ্চিমবঙ্গে এই হার ১৬ শতাংশ। আর জাতীয় হার ২৩ শতাংশ। এই হার বাড়ানোর জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। 

আরও পড়ুন- আজ খুঁটিপুজো দিয়ে দুর্গোৎসবের শুভারম্ভের পথে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার

মহিলাদের উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প এনেছে রাজ্য সরকার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সাধারণ মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা এবং এসসি, এসটি, ওবিসি মহিলাদের ১০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে সেপ্টেম্বর থেকে। এছাড়াও কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, বিধবাভাতা থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ড মহিলাদের নামে করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সামাজিক উন্নয়নের আরও কাজ করতে চায় রাজ্য সরকার। 

Share this article
click me!